বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

শেয়ারবাজারে বসুন্ধরা পেপার

১৬ অক্টোবর শেয়ার দাম নির্ধারণে বিডিং

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তা পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলনের লক্ষ্যে শেয়ার দাম বা কাট অব প্রাইস নির্ধারণে ইলেকট্রনিক বিডিং শুরু হবে ১৬ অক্টোবর। ওইদিন বিকাল ৫টা থেকে ১৯ অক্টোবর বিকাল ৫টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক বিডিং হবে। এতে অংশ নেবেন ইলিজিবল ইনভেস্টর বা যোগ্য বিনিয়োগকারীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে ২০০ কোটি টাকা তুলতে আগ্রহী বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। গত ২৭ আগস্ট ইলেকট্রনিক বিডিং সম্পাদনের মাধ্যমে কাট অব প্রাইস নির্ধারণের অনুমোদন দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিডিং প্রক্রিয়ায় ইস্যু মূল্য নির্ধারণে ইলেকট্রনিক সাবক্রিপশন সিস্টেম সফটওয়্যার ব্যবহার ও টেকনিক্যাল সহায়তায় বসুন্ধরা পেপার মিলস, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানিটি ইলেকট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে শেয়ার বিক্রির পাশাপাশি কাট অব প্রাইস নির্ধারণ করবে। কাট অব প্রাইস তথা যে দামে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটার শেয়ার বিক্রি শেষ হবে, সেই দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি শেষ হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে অনুমতি চাইবে কোম্পানি। আর অনুমতি পেলেই শেয়ার আবেদন ও চাঁদা গ্রহণের সময়সূচি প্রকাশিত হবে।

বসুন্ধরা গ্রুপ দেশের খ্যাতনামা শিল্প গ্রুপ। এই গ্রুপের আরেক অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মেঘনা সিমেন্ট মিলস পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। দীর্ঘদিন থেকেই কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীর আগ্রহের শীর্ষে ও আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বছর বছর লভ্যাংশ প্রদানের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের এ আস্থা অর্জন করেছে। বসুন্ধরা পেপার মিলস তিনটি ইউনিটের মাধ্যমে পেপার ও পেপারসামগ্রী উৎপাদন করে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় মেঘনা ঘাটে ইউনিট-১ ও ইউনিট-২ এবং মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ইউনিট-৩ চালু রয়েছে। বসুন্ধরা পেপার মিলস তিনটি ইউনিটের মাধ্যমে এমজি পেপার, ওফসেট পেপার, হোয়াইট রাইটিং অ্যান্ড প্রিন্টিং পেপার, ব্রাউন লাইনার, নিউজপ্রিন্ট পেপার, কোটেড অ্যান্ড আনকোটেড পেপার বোর্ড, এ৪ পেপার, গ্লাসাইন পেপার, স্টাইফেনার, লেজার পেপার, পিপি ওভেন ব্যাগ ও স্যাক পেপার প্রভৃতি উৎপাদন করে মানুষের চাহিদ পূরণ করে আসছে। টিস্যুর মধ্যে রয়েছে ফেসিয়াল টিস্যু, পকেট টিস্যু, ওয়েট টিস্যু, গ্রিন টিস্যু, স্যানিটারি ন্যাপকিন, বেবি ডায়াপার, টয়লেট টিস্যু ও কিসেন টাওয়েল উৎপাদন করছে।

পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থ ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের সম্প্রসারণ, নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয় ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধে ব্যয় করা হবে। যার বড় অংশই থাকবে কারখানার মেশিনারিজ ও উৎপাদন সুবিধার আধুনিকায়ন। এই ক্ষেত্রে ব্যয় হবে ১২০ কোটি টাকা। অবকাঠামোগত উন্নয়নে ৬ কোটি, ইন্সটলেশনে ৩ কোটি, যন্ত্রণাংশে ৩ কোটি, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ৬০ কোটি, ভূমি ও ভূমি উন্নয়নে ৩ কোটি টাকা এবং আইপিও প্রক্রিয়াতে খরচ হবে ৫ কোটি টাকা। বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের ইস্যু ম্যানেজার এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর রেজিস্টার টু দ্য ইস্যু এফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড।

সর্বশেষ খবর