জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে সংস্থাটির ২ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী চেয়ারম্যানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। গতকাল সকালে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কাছে তারা ব্যাচভিত্তিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে তারা চেয়ারম্যানের দপ্তরে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘চেয়ারম্যান হিসেবে আমি ব্যক্তিগতভাবে আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষমা করে দিয়েছি।
তবে আন্দোলনের কারণে রাষ্ট্রের যে ক্ষতি হয়েছে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।’ এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমা চাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৩, ৩৮ ও ৪০তম ব্যাচের কর্মকর্তা বেশি ছিলেন। এর আগে গত সপ্তাহে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এনবিআরের আন্দোলন সংশ্লিষ্ট ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে, যাদের মধ্যে দুজন সদস্যও রয়েছেন। এ ছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহারের পর এখন পর্যন্ত এনবিআরের তিনজন সদস্য এবং একজন কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনারকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তিনি আন্দোলনের সময় কাজ বন্ধ রেখেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গত সোমবার ঢাকা কাস্টমস হাউস পরিদর্শনের সময় চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করে বলেন, ‘এনবিআরের কর্মকর্তাদের ভয়ের কিছু নেই। যারা সীমা লঙ্ঘন করেছে, তাদের ব্যাপারে আলাদা সিদ্ধান্ত হবে। সাধারণভাবে কারও ভয়ের কোনো কারণ নেই।’ আন্দোলনের পর কিছু কর্মকর্তাকে অবসর, বদলি কিংবা বরখাস্ত করা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, ‘যে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। আন্দোলনে অনেকেই অংশ নিয়েছিল, তবে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
এনবিআর সূত্রমতে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন দায়িত্ব পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।