এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারে।
গতকাল মে ও জুন মাসের জন্য বকেয়া আমদানি বিল হিসেবে আকুকে ২ দশমিক ০১ বিলিয়ন (২০১ কোটি) ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। পরদিন মঙ্গলবার (গতকাল) সেই অর্থ পরিশোধের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে রিজার্ভে এই হ্রাস দেখা দেয়।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি (বিপিএম৬) অনুসারে এই মুহূর্তে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে ২ জুলাই রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার, বিপিএম৬ অনুযায়ী যা ছিল ২৬ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার।
আকু হলো দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ৯টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে একটি লেনদেন নিষ্পত্তি প্ল্যাটফর্ম। এর সদস্যদেশগুলো হলো : বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ভুটান ও মালদ্বীপ। আকু ব্যবস্থার আওতায় সদস্য দেশগুলোর মধ্যে হওয়া আমদানি-রপ্তানির অর্থপ্রদানের নিষ্পত্তি প্রতি দুই মাস অন্তর হয়।
এই নিষ্পত্তির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক দুই মাস পরপর সদস্য দেশগুলোর কাছে আমদানি বিল পরিশোধ করে থাকে। যদিও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিয়মিতভাবে আমদানির অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয় এবং তা সাময়িকভাবে রিজার্ভে যুক্ত হয়, চূড়ান্ত পরিশোধের সময় সেই অর্থ রিজার্ভ থেকে কেটে নেওয়া হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, আকুর বিল পরিশোধ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও বৈদেশিক মুদ্রার বর্তমান রিজার্ভ পরিস্থিতিতে এটি তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ চাহিদার তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে থাকায় রিজার্ভে বাড়তি চাপ পড়ছে।