রবিবার, ২৩ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
কর্মশালায় তথ্য

ইন্টারনেটের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে

অধিকাংশই মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থা থেকে এসেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া অধিকাংশই মূল ধারার শিক্ষাব্যবস্থা থেকে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। জঙ্গিরা ইন্টারনেট জগতের কোনো মাধ্যম হয়ে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে বলেও জানান তারা। গতকাল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে নাগরিকদের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) উদ্যোগে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ফর পিসের (সিডিপি) সহায়তায় এ কর্মশালায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। কর্মশালায় এটিইউ’র অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, হলি আর্টিজান হামলা পরবর্তী সময়ে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বিভিন্ন সময় গ্রেফতার ২৫০ জনের মধ্যে জরিপ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া ৫৬ শতাংশই মূল ধারার অর্থাৎ সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থা থেকে এসেছেন। যেখানে ২২ শতাংশ মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার এবং ইংরেজি মাধ্যম ও অশিক্ষিত রয়েছেন বাকি ২২ শতাংশ। সে হিসাবে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়াদের প্রায় ৬০ শতাংশই সাধারণ ও ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষাব্যবস্থার। এদের মধ্যে প্রায় ৮২ শতাংশই ইন্টারনেট জগতের কোনো মাধ্যম হয়ে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ২০১৮-এর তথ্য অনুযায়ী জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস প্রতিদিন প্রায় ৭০ হাজার টুইট করে। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিদিন অন্তত ৯০ হাজার পোস্ট করে। আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনসহ দেশীয় সংগঠনগুলোর প্রধান টার্গেট থাকে মিডিয়া কাভারেজ। তারা কী করতে পারল, তার চেয়ে জরুরি কতটা প্রচার পেল। তাই জঙ্গি বিষয়ক সংবাদ পরিবেশনায় গণমাধ্যমকে আরও সতর্ক হতে হবে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হাসান মল্লিক বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে বিপজ্জনক। আমাদের দেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যে কোনো সময় ভূমিকম্প হতে পারে। তেমনিভাবে সন্ত্রাসবাদের আঘাতও যে কোনো সময় হতে পারে। তাই অবশ্যই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে আমাদের নজর দিতে হবে। এ জন্য সব পর্যায়ের নাগরিকদের অংশগ্রহণে জোর দিতে হবে।

সর্বশেষ খবর