শিরোনাম
রবিবার, ৭ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইউএসটিসির নীরবতায় ঘটনার পুনরাবৃত্তি

চট্টগ্রামে শিক্ষকের গায়ে কেরোসিন

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চিটাগাং (ইউএসটিসি)-এর ইংরেজি বিভাগের উপদেষ্টা ড. মাসুদ মাহমুদের বিরুদ্ধে ক্লাসে ‘অপ্রাসঙ্গিকভাবে যৌন’ বিষয় আনার অভিযোগের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনার কোনো সত্যতা পায়নি। তবুও অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার প্রায় তিন মাস পর ফের হেনস্তা করার মতলবে প্রবীণ এ শিক্ষকের গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় একজন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার এবং তদন্ত কমিটি গঠন ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে বলে অভিযোগ নাগরিক সমাজের।  অভিযোগ উঠেছে, ঘটনার পাঁচ দিন পরও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া, গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থী এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা অন্যদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় অপরাধকারীরা ঘটনার পুনরাবৃত্তি করার প্রশ্রয় পাচ্ছে। তাছাড়া তিন মাস আগে কিছু শিক্ষার্থীর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়াটাও পরবর্তী ঘটনায় উৎসাহ জোগায় বলে অভিযোগ আছে।  ইউএসটিসির উপ-উপাচার্য মুহাম্মদ নুরুল আবসার বলেন, ‘ঘটনার পর গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে কয়েক দফা বৈঠক করেছে। কমিটি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন দেবে। এরপরই এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার ব্যাপারে সচেতন রয়েছে।’  ইউএসটিসির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও মামলার বাদী দিলীপ কুমার বড়–য়া বলেন, ‘ইতিপূর্বে ড. মাসুদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের ব্যাপারে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু এর আগেই আরেকটি ঘটনা ঘটেছে। আশা করছি, বর্তমানে চলমান তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলাও এখন চলমান।’  

নাগরিক সমাবেশ ও মানববন্ধন : বরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের ওপর হামলা ও প্রাণনাশের চেষ্টার প্রতিবাদে ‘সর্বস্তরের সাংস্কৃতিককর্মী ও সচেতন নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রাম’-এর ব্যানারে নাগরিক সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে। গতকাল শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আবুল মনসুর প্রমুখ।  

প্রসঙ্গত, গত ২ জুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাসুদ মাহমুদকে নিজ কক্ষ থেকে বের করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে লাঞ্ছিত করা হয়।

সর্বশেষ খবর