শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

টাঙ্গাইলে আখের বাম্পার ফলন

মো. নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলে আখের বাম্পার ফলন

রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় টাঙ্গাইলে এবার আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় খেত থেকে আগাম আখ কেটে বাজারে বিক্রি করছেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। এলাকায় ধুম পড়ে গেছে আখ কাটা ও বিক্রিতে। তবে

সরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে টাঙ্গাইলে আখ চাষ করছেন আখ চাষিরা। অপরদিকে বেশি লাভ পাওয়ায় আখ চাষে ঝুঁকছে টাঙ্গাইলের কৃষকরা।

টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলের ১২ উপজেলার মধ্যে সখীপুর ও ধনবাড়ী উপজেলা ছাড়া বাকি ১০টি উপজেলায় আখের চাষ করা হয়েছে। এ বছর জেলায় আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৫৯ হেক্টর, আর চাষ করা হয়েছে ৭৮৬ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২২৭ হেক্টর বেশি। এতে উৎপাদন হয়েছে ২৬ হাজার ৪০৫ টন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৮৫ হেক্টর, বাসাইল উপজেলায় ২, কালিহাতী উপজেলায় ৩০, ঘাটাইল উপজেলায় ১৬, নাগরপুর উপজেলায় ২৮০, মির্জাপুর উপজেলায় ৩২, মধুপুর উপজেলায় ১১, ভূঞাপুর উপজেলায় ৫৫, গোপালপুর উপজেলায় ১২ ও দেলদুয়ার উপজেলায় ৬৩ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। চাষযোগ্য জমিগুলোতে যদি বন্যার পানিসহ অন্যভাবে পানি দেওয়া সম্ভব হতো তাহলে আবাদ আরও বৃদ্ধি করা যেত। তবে এবার বৃষ্টিপাতের কারণে ফলন অনেক ভালো হয়েছে। চলতি বছর অমৃত, রং বিলাশ, ঈশ্বরদী-১.২, সিএসি ২০৮ জাতের আখ রোপণ করেছে কৃষকরা। আখ উৎপাদনে ঝুঁকি কম এবং লাভ বেশি।

সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের চাড়াবাড়ি এলাকার চাষি আরফান আলী বলেন, এ বছর আমি চার বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছি। জমি তৈরি, চারা কেনা, শ্রমিক মজুরি, সার, কীটনাশকসহ খরচ হয়েছে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা। আশা করছি দেড় লাখ টাকার ওপরে আখ বিক্রি হবে।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, কয়েক বছর ধরে জেলায় আখের আবাদ বাড়ছে। এ বছর আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। আখ বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে চাষিরা। আখ খেতে সাথী ফসল আবাদ করে তা থেকে আখ চাষের খরচ উঠে আসে। পরে আখ বিক্রির টাকা এককালীন লাভ হিসেবে চাষিরা পেয়ে যায়। কৃষি বিভাগ থেকে আখ চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর