‘হ্যালো ইঞ্জিনিয়ার সাব! মালপাত্তি ভালোই কামাইতাছেন। খুব ভালো কথা। কিন্তু ভাই বেরাদারগো খবর রাখব কে? যাই হোক, এতো কথা ভালো লাগে না। সোজাসাপ্টা কথা কই। আমি আসলাম বলছি। সুইডেন আসলাম। জেলখানা থেকে বাইর হওয়ার প্রোগ্রাম হইছে। বুঝতে পারছেন নিশ্চয়। টাকা লাগব। লাখ পাঁচেক দিলেই হইব তাড়াতাড়ি। আজ বিকালের মধ্যে লাগব। লোক পাঠামু। দিয়া দিয়েন। পুলিশ র্যাবের কাছে আওয়াজ দিলে আপনার কিছু হবে না। পরিবারের লাশ পড়ব। মনে রাইখেন।’ প্রকৌশলী রায়হান অজ্ঞাত ব্যক্তির এমন একটা ফোন কল পেয়ে তার শরীর খারাপ হয়ে পড়ে। টেনশন করছেন। কী করবেন, কাকে বলবেন, বুঝতে পারছেন না। পুলিশকে জানালে বলছে পরিবারের লাশ পড়বে। ঘামতে শুরু করেন। কাউকে তিনি বলছেন না। বিকালে আবারও ফোন। এবার অন্য কণ্ঠ। ‘হ্যালো ভাইজান! সুইডেন ভাই বলছিল আপনি পাঁচ লাখ টাকা দিবেন। কোথায় আসব তাড়াতাড়ি বলেন। আমাদের সময় নেই। প্রকৌশলী রায়হান এ কথা শুনে কিছু বলতে পারছেন না। তিনি তো বলেননি, টাকা দেবেন। এখন অজ্ঞাত ব্যক্তি বলছে, কোথায় আসবে সে টাকা নিতে। সাহস করে রায়হান বললেন, ভাই আমি বলিনি টাকা দেব। টাকা আমার কাছে নেই। ওপাশের লোকটি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে। অকথ্য গালাগাল দিয়ে বলছে, ওই বেডা তুই টাকা দিবি কইছস। এখন কস, বলিস নাই। আইজ তগো লাশ পড়ব। তরেও মারুম।’ রায়হান অনুনয়-বিনয় করে বলেন, ভাই আমার কাছে টাকা নেই। আচ্ছা দুই এক লাখ টাকা কম দিস-ওপাশের লোকটি বলে। রায়হান বলেন পারবেন না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দর কষাকষি চলতে থাকে। একপর্যায়ে ১৫ হাজার টাকায় রফাদফা হয়। একটা বিকাশ নম্বরে ১৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন রায়হান। ভাবছেন, বড় বাঁচা তিনি বেঁচেছেন। সেদিনই রায়হান তার এক পরিচিত পুলিশ অফিসারের কাছে জানান। সেই পুলিশ অফিসার নম্বরগুলো ট্রাকিং করে দেখেন একটি নম্বরও জেলাখানা বা আশপাশ এলাকার নয়। ঢাকার ভিতরের। রায়হান বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এমন ঘটনা ঘটছে রাজধানীসহ সারা দেশেই। রাজধানীবাসীর কাছে নামেই যারা মূর্তিমান আতঙ্ক তাদের অনেকেই নিহত হয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের সময়, ক্রসফায়ারে। আর কেউবা আছেন কারাগারে। ক্রসফায়ার ও গ্রেফতার থেকে রক্ষা পেতে ধূর্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অনেকেই আত্মগোপনে থাকার জন্য পাড়ি দিয়েছেন দেশের বাইরে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত তাদের প্রথম পছন্দ হলেও কেউ কেউ পাড়ি জমিয়েছেন আমেরিকা, কানাডা, নেপালসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। তারপরও তাদের নামে চলছে নীরব চাঁদাবাজি। পুলিশ বলছে, এসব ক্ষেত্রে অযথাই মানুষ আতঙ্কিত হয়। তারা পুলিশকে সময়মতো জানালেই সমস্যায় পড়বে না। গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, একটি প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরেই ভয় দেখিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে চাঁদাবাজি করছে। পুলিশ গত সপ্তাহে ঢাকা ও মাদারীপুর থেকে এমন নয়জন প্রতারক চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। যারা গত ৪ বছর ধরে এভাবেই ফোন করে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করছে।
শিরোনাম
- তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুড়িচংয়ে দোয়া মাহফিল
- ধর্মের দোহাই দিয়ে টিকেট বিক্রি করে কাজ হবে না: তানিয়া রব
- জবিতেও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে রবিবার
- সোনারগাঁয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মান্নানের সম্প্রীতি সমাবেশ
- ভূমিকম্প: ঢাবিতে রবিবারের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
- নোয়াখালীতে প্রয়াত ১০৯ বিএনপি নেতাকর্মীর পরিবারকে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা
- তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের বিকল্প নেই: দুলু
- ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
- বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে নারীরা সুরক্ষিত থাকে: শামা ওবায়েদ
- নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
- 'তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে প্রতিটি পরিবারের হাতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে'
- মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
- বাগেরহাটে কবি হিমেল বরকতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- ঢাকায় ভূমিকম্পে নিহত বগুড়ার রাফিউলের দাফন সম্পন্ন
- ‘নির্বাচনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে’
- বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা
- বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৩১ গরু আটক
- শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
আমি শীর্ষ সন্ত্রাসী বলছি
মির্জা মেহেদী তমাল
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর