রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) একযোগে শুরু হয়েছে পোশাকশিল্প পণ্যের চারটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি মেশিনারি, ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক্স, গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ ও সাপোর্ট সার্ভিস নিয়ে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। টেন্টসহ আইসিসিবির ১০টি হলজুড়ে ২৪ দেশের ৪৫০ প্রতিষ্ঠান প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে। গতকাল চার দিনব্যাপী প্রদর্শনী চারটির উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ‘গার্মেন্ট-টেক বাংলাদেশ-২০২০’, ‘১১তম ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক্স সোর্সিং ফেয়ার-২০২০’, ‘১১তম গ্যাপ এক্সপো-২০২০’ ও ‘প্যাকটেক বাংলাদেশ-২০২০’ শীর্ষক প্রদর্শনী চারটি চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনীগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) সভাপতি মো. আবদুল কাদের খান, জাকারিয়া ট্রেড অ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিপু সুলতান ভুঁইয়া, আসক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক নন্দ গোপাল কে, বিজিএপিএমইএর উপদেষ্টা রাফেজ আলম চৌধুরী ও সংগঠনটির দ্বিতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট মোজাহেরুল হক শহীদ। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘আশির দশকে গার্মেন্টের সব অ্যাক্সেসরিজ ও সহায়ক পণ্য বিদেশ থেকে আসত। এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে। বিদেশে রপ্তানিও হচ্ছে। এ খাতের ব্যবসায়ীদের নিরলস শ্রমে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বাইরের দেশ থেকে অ্যাক্সেসরিজ আনতে হলে আমাদের রপ্তানি আয় কমে যেত। এ ছাড়া এ খাতে ৪-৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো অবস্থানে আছি।’ তিনি বলেন, ‘বিপুল কর্মসংস্থান ছাড়াও রপ্তানি পণ্যের ৮৪ শতাংশ পোশাক খাত থেকে আসে। তার পরও বৈশ্বিক নানা কারণে খাতটির খারাপ সময় যাচ্ছে। সবাই মিলে এ সংকট মোকাবিলা করতে হবে। সরকার সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। আশা করি খুব শিগগিরই সুদিন ফিরবে।’ ড. রুবানা হক বলেন, ‘গার্মেন্ট খাতটি ভালো নেই। গত ছয় মাসে ৭ দশমিক ৬৪ ভাগ নেগেটিভ গ্রোথে আছি। সাড়ে ১০ ভাগের মতো উৎপাদন কমে গেছে। ৬৯টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। ৩২ হাজার ৯০০ জন চাকরি হারিয়েছেন। যদিও একই সঙ্গে ৫৩টি কারখানা নতুন করে চালু হয়েছে। কিন্তু আমরা অনেকেই না বুঝে এ ব্যবসায় চলে আসছি। মূলত এ নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা দরকার, যা হয়নি।’ তিনি বলেন, গার্মেন্ট শিল্প না থাকলে অ্যাক্সেসরিজও থাকবে না। রাফেজ আলম চৌধুরী বলেন, গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং খাতটি শুরু থেকে অবহেলিত। কোনো ধরনের প্রণোদনা পায়নি। গত ছয় মাসে প্রায় ১০০ ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে গেছে। আবদুল কাদের খান প্যাকেজিং পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে ২০২১ সালে এ খাতের একটি পণ্যকে বর্ষপণ্য ঘোষণার দাবি জানান।
শিরোনাম
- রাজশাহীতে মাদকসহ ৬ কারবারি গ্রেপ্তার
- ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১০৪৫ মামলা
- ৪৮ ঘন্টার জন্য দেশের জ্বালানি কূপগুলোতে ড্রিলিং কার্যক্রম বন্ধ
- হবিগঞ্জে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
- শেখ হাসিনা-রেহানার মামলার যুক্তিতর্ক ২৫ নভেম্বর
- রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
- বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬ দেশ
- বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ট্রেন আটকে রাখল শিক্ষার্থীরা
- সব ধরনের কাউন্টার সেবা বন্ধ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
- শীতের দিনেও ব্যায়াম, যা খেয়াল রাখা জরুরি
- প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
- মুখে বলিরেখা সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান
- বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
- শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটিই থামিয়েছি: ট্রাম্প
- নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশি সম্পদের বিবরণীও বাধ্যতামূলক: দুদক চেয়ারম্যান
- হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
- ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে প্রাণ গেল সিলেটের যুবকের
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- টেস্টে নতুন উচ্চতায় তাইজুল
বসুন্ধরায় চার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর