উৎপাদনের সব রেকর্ডকে পেছনে ফেলল বাংলাদেশের চা। দেশের অন্যতম বৃহৎ এ শিল্পে এ বছর হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন; যার মধ্যদিয়ে পেছনে পড়েছে ১৬৫ বছরের রেকর্ড। সদ্য গত হওয়া বছরে (২০১৯) দেশে চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ কোটি কেজি। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উৎপাদন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি কেজি চা-পাতা। দেশে চা শিল্পের ইতিহাসে এর আগে কখনোই এত পরিমাণ চায়ের উৎপাদন হয়নি। উৎপাদনের রেকর্ডের বিষয়টিকে দেশের চা শিল্পের জন্য বড় সুখবর হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে চায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। জিডিপিতে চায়ের অবদান দশমিক ৮১ শতাংশ। দেশে চায়ের প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে। সিলেটের মালনীছড়ায় ১৮৫৪ সালে দেশের সর্বপ্রথম চা-বাগান গড়ে ওঠে। শুরু হয় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চায়ের চাষ। দেশে চা শিল্পের ১৬৫ বছরের ইতিহাসে ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ কোটি কেজি উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছিল। সদ্য গত হওয়া ২০১৯ সালে বাংলাদেশ চা বোর্ড উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৮ কোটি কেজি। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উৎপাদন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি কেজি, যা দেশে নতুন রেকর্ড। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়া, পরিমিত বৃষ্টিপাত, অনাবাদি জমিতে চাষ, সঠিক সময়ে উৎপাদন কাজ শুরু, খরার কবলে না পড়া, সঠিক সময়ে কীটনাশক প্রয়োগ, পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়া প্রভৃতি কারণে চায়ের উৎপাদনে রেকর্ড হয়েছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের (বিটিবি) উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. মুনির আহমদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গেল ডিসেম্বর পর্যন্ত চায়ের উৎপাদন প্রায় সাড়ে ৯ কোটি কেজি। এটিই চায়ের ইতিহাসে উৎপাদনের রেকর্ড। সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে চায়ের উৎপাদন ১৪ কোটি কেজিতে উন্নীত করতে কাজ করছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের (পিডিইউ) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘২০১৮ সালের চেয়ে ২০১৯ সালে দেশে প্রায় দেড় কোটি কেজি চা বেশি উৎপন্ন হয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনই আমাদের লক্ষ্য।’ এদিকে চায়ের উৎপাদন বাড়লেও বাগানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা চোরাই পথে চা দেশে আনা বন্ধ করার কথা বলছেন। শ্রীমঙ্গল জেমস ফিনলে টি কোম্পানির ভাড়াউড়া ডিভিশনের ডিজিএম ও বাংলাদেশ চা সংসদের (সিলেট বিভাগ) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, ভারত থেকে চোরাই পথে নিম্নমানের চা দেশে আসছে, যা খাওয়ার যোগ্য নয়। চায়ের বাজার কোয়ালিটি খারাপ করে দিচ্ছে এসব চা। বিটিবি সূত্র জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে ১৬৬টি চা-বাগান আছে। এর মধ্যে সিংহভাগই সিলেট বিভাগে। সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলায় ৯১টি, হবিগঞ্জে ২৫টি ও সিলেট জেলায় আছে ১৯টি চা-বাগান। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ২২টি, পঞ্চগড়ে সাতটি, রাঙামাটিতে দুটি ও ঠাকুরগাঁওয়ে একটি চা-বাগান আছে। লন্ডনভিত্তিক ‘ইন্টারন্যাশনাল টি কমিটি’র প্রতিবেদন অনুসারে, চা উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে নবম। কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল দশম। সদ্য গত হওয়া বছরে উৎপাদনে এক ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। সংস্থাটির হিসাবে চা উৎপাদনে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে চীন ও ভারত।
শিরোনাম
- চীন-ভারতসহ ব্রিকস সদস্যদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি
- এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
- আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ের সঙ্গে যুবাদের ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা
- গণমাধ্যমকে হুমকি বন্ধে হস্তক্ষেপ কামনা মার্কিন কংগ্রেসের
- বৃষ্টিতে মোংলা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা, জনজীবন বিপর্যস্ত
- ভিন্নমত দমনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতারা
- রাজধানীতে দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে একজন নিহত
- একজনের নামে সর্বোচ্চ ১০ সিম, কার্যকর ১৫ আগস্ট থেকে
- চীনে সীসা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ ২৩৩ শিশু
- দেশজুড়ে পুলিশি অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৬০৭
- পেদ্রোর জোড়া গোলে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি
- ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, আজও বৃষ্টির আভাস
- অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে ফেরার তাড়া নেই ডেভিডের
- ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
- দীপিকার ‘৮ ঘন্টা কাজ’ প্রসঙ্গ নিয়ে রাশমিকার খোঁচা!
- জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ, প্রোটিয়াদের টানা ১০ জয়ের রেকর্ড
- যাত্রাবাড়ীতে ১০ হাজার ইয়াবাসহ দুইজন গ্রেফতার
- শাহজালালে ৮৯৬ গ্রাম সোনাসহ দুইজন আটক
- মুরাদনগরের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা: তদন্তভার ডিবিতে, ঘটনাস্থলে তদন্ত কর্মকর্তা
- ১৮ দিনে ১৫০ কোটির দোরগোড়ায় ‘সিতারে জামিন পার’
চা উৎপাদনে ভাঙল ১৬৫ বছরের রেকর্ড
শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর