রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
ফার্মাসিস্টের ঝুলন্ত লাশ

আত্মহত্যা বলছে পুলিশ, পরিবারের দাবি হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ডেমরা থানার মাতুয়াইলে ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে পরিচালকের কক্ষে মোবারক হোসেনের মৃত্যুরহস্য সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে না পারলেও পুলিশের সন্দেহ তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরিবারের দাবি, মোবারককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে ফ্রেন্ডশিপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক জামানের কক্ষ থেকে মোবারকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মোবারক ফার্মাসিস্ট ছিলেন। তিনি বারডেম-২ হাসপাতালের এনেস্থেশিয়া বিভাগে কাজ করতেন। মোবারকের পরিবারের অভিযোগ, পরিচালক জামানের কাছে মোবারক মোটা অঙ্কের টাকা পেতেন। সেই টাকা দেওয়ার জন্য মোবারককে ডেকেছিলেন জামান। এরপরই তারা মোবারকের মৃত্যুর খবর পান। এ ঘটনায় দুজনের নাম উল্লেখ করে ডেমরা থানায় মামলা হয়েছে। মামলার বাদী মোবারকের ভাই রুহুল আমিন জানান, পাওনা টাকা চাওয়ার জের ধরে মোবারককে হাসপাতালে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। পরে আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য জানালার গ্রিলের সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ঝুলন্ত অবস্থায় মোবারককে পাওয়া গেলেও তার পা দুটো ছিল মেঝেতে। মোবারকের বন্ধু নাহিদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে স্ত্রী সাবিকুন্নাহার রিতুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে মোবারকের শেষ কথা হয়। রাত ৮টায় তিনি বাসায় না ফেরায় রিতু স্বামীর মোবাইল ফোনে একাধিক কল দিয়ে বন্ধ পান। ফোন বন্ধ পাওয়ায় বিষয়টি তিনি স্বজনদের জানান। তারা মোবারকের খোঁজ শুরু করেন। শুক্রবার সকালে তারা জানতে পারেন, ফ্রেন্ডশিপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক জামানের রুমে মোবারকের লাশ পাওয়া গেছে। এরপরই স্বজনরা সেখানে ছুটে যান। মোবারক স্ত্রীকে নিয়ে দক্ষিণ দনিয়ার ১৪/৬০ নম্বর বাসায় থাকতেন। ডিএমপির ডেমরা জোনের এসি মো. রাকিবুল হাসান জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। হাসপাতালের পরিচালক জামান ও মামুনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার এসআই নাসির উদ্দিন জানান, মোবারকের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে আমরা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নই। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে।

সর্বশেষ খবর