বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

মুখরিত পদ্মাপাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

মুখরিত পদ্মাপাড়

রাজশাহীর বিস্তীর্ণ পদ্মার পাড়ে এখন নানা বয়সী মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। এর মধ্যে ঈদের দিন এবং দ্বিতীয় দিন বিনোদন পিপাসু মানুষের ভিড় ছিল বেশি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীর ধারে ভিড় জমাচ্ছেন বিনোদন পিপাসুরা।

ভরা পদ্মায় এখন আছড়ে পড়ছে ঢেউ। পড়ন্ত বিকালে নদীতে হারিয়ে যাচ্ছে সূর্য। এমন অপার সৌন্দর্যের টানেই বিনোদনপ্রেমীরা যাচ্ছেন পদ্মাপাড়ে। নগরীর পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় আছে পদ্মার পাড়। ঈদের দিন থেকে এলাকাগুলো সব সময় মুখর থাকছে বিনোদনপ্রেমীদের পদচারণায়। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের ভালোলাগার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এলাকাগুলো। করোনার থাবা দূর করে পদ্মার পাড়ে এখন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসাও এখন জমজমাট। মাঝিদের নৌকাতেও মিলছে যাত্রী। নৌকাগুলো ভাসছে ভরা পদ্মায়। অনেকেই পদ্মাপাড়ের লালন শাহ মঞ্চের গ্যালারিতে বসে উপভোগ করছেন পদ্মার সৌন্দর্য। জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, রাজশাহীতে মুক্ত বাতাসে একটু শ্বাস নেওয়ার জন্য পদ্মাপাড়ের তুলনা নেই। লকডাউন শিথিল করার পর থেকেই পদ্মাপাড়ে বিনোদন পিপাসুদের আনাগোনা বেড়েছে। ঈদের পর সেটা আরেকটু বেড়েছে। আমরা বলছি, সামাজিক দূরত্বটা যেন বজায় থাকে। সেটা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতও মাঠে আছে। এদিকে রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার তালাও খুলেছে প্রায় পাঁচ মাস পর। ঈদুল আজহার দিন থেকে শিশুদের পদচারণায় আবার মুখর হয়ে উঠেছে বিনোদন কেন্দ্রটি।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদের দিন প্রায় ৭০০ শিশু ও তাদের অভিভাবক চিড়িয়াখানায় এসেছেন। ঈদের পর দিন এসেছে প্রায় দুই হাজার শিশু ও তাদের অভিভাবক। ঈদের তৃতীয় দিনও শিশুদের আনাগোনা ছিল বেশি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই চিড়িয়াখানায় বিনোদনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মাস্ক না পরলে কাউকেই চিড়িয়াখানার ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান উদ্যান ও চিড়িয়াখানার সুপারভাইজার শরিফুল ইসলাম বলেন, রাজশাহীর শিশু পার্ক এখনো বন্ধ। তাই তাদের এখানে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি হচ্ছে। সে জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি তারা খুব খেয়াল করছেন। প্রবেশের সময়ই সবাইকে জীবাণুনাশক টানেলের ভিতর দিয়ে আসতে হচ্ছে। আর সবাই যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন তার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর