শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বাঘের দুই শাবকের মৃত্যুর পর অন্যটিকে বাঁচানোর চেষ্টা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বাঘের দুই শাবকের মৃত্যুর পর অন্যটিকে বাঁচানোর চেষ্টা

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার বাঘিনী জয়া তিনটি শাবকের জন্ম দেয়। কিন্তু জন্মের পর ছয় দিনের ব্যবধানে মারা যায় দুটি শাবক। তবে অবশিষ্ট শাবকটিকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় দুটি বাঘ ও চারটি বাঘিনী আছে। জানা যায়, ১৪ নভেম্বর রাতে জয়া-রাজ দম্পতির ঘরে তিনটি শাবকের জন্ম হয়। কিন্তু জন্মের পর মা বাঘ তার শাবকদের দুধ খেতে দেয়নি। বাচ্চাদের সঙ্গেও বিরূপ আচরণ করে। ফলে ১৫ নভেম্বর রাতে একটি শাবক মারা যায়। এরপর বাকি দুই বাচ্চাকে আলাদা করে রাখা হয়। মায়ের দুধ না খাওয়ায় দুটি শাবকই দুর্বল ও সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। পরে ১৮ নভেম্বর আরও একটি বাচ্চা মারা যায়। এখন অবশিষ্ট শাবককে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. মো. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ‘মায়ের বিরূপ আচরণে দুটি বাচ্চা মারা যায়। বর্তমানে তৃতীয় বাচ্চাকে বাঁচাতে চেষ্টা চলছে। বাচ্চাকে খাওয়ানো হচ্ছে হাতে। তার অবস্থা কিছুটা ভালো। নিয়মিত খাবার গ্রহণ করলে এক মাস পর নিরাপদ বলা যাবে।’ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘বাচ্চাটির নিরাপত্তা এবং সংক্রমণ থেকে মুক্ত রাখতে সাধারণ কোলাহল থেকে দূরে রাখা হয়েছে। এটিকে সুস্থ করে তুলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।’ চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকায় ১১ মাস বয়সী বাঘ ও ৯ মাস বয়সী বাঘিনী চিড়িয়াখানায় আনা হয়। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় তাদের ঘটা করে বিয়ে দেওয়া হয়। নাম দেওয়া হয় রাজ ও পরী। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই সেই বেঙ্গল টাইগার রাজ-পরী দম্পতির ঘরে তিনটি শাবকের জন্ম হয়। এর মধ্যে দুটি ছিল ‘হোয়াইট টাইগার’ এবং একটি কমলা-কালো ডোরাকাটা। একটি সাদা বাঘ শাবক জন্মের পরদিনই মারা যায়। সাদা বাঘিনী ‘শুভ্রা’ বেঁচে আছে। এ ছাড়া জীবিত কমলা-কালো ডোরাকাটা বাঘিনী ‘জয়া’ ১৪ নভেম্বর জন্ম দেয় তিনটি শাবকের। সাদা বাঘিনী শুভ্রার ঘরেও কিছুদিনের মধ্যেই নতুন অতিথি আসার সম্ভাবনা আছে।

সর্বশেষ খবর