শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

পাহাড়ে সূর্যমুখী হাসি

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে সূর্যমুখী হাসি

সবুজ পাহাড়ে সূর্যমুখী হাসি। ভোর হলেই সোনা রোদে চোখ মেলে ঝলমলে সূর্যমুখী। সূর্য মামার সঙ্গে রাঙামাটির সূর্যমুখীর বাগানও জেগে ওঠে। পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে দিগন্ত বিস্তৃৃত খেতে সূর্যমুখীর চাষ। যতদূর চোখ যায় সোনা রোদের সঙ্গে সূর্যমুখীর হলুদ আভায় মন জুড়িয়ে যায়। পাহাড়ে কৃষি জমিতে তামাকের আগ্রাসন কমাতে সূর্যমুখী চাষে উৎসাহিত করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার    সীমান্তবর্তী হরিণা ও ভূষণছড়া অ্যারাবোনিয়া এলাকার ভাইজ্যাতলা গ্রামের কৃষকরা সূর্যমুখী ফুলের বাগান করেছে প্রায় এক একর জমিতে। বাগান জুড়ে ফুলের আবাদ হয়েছে ব্যাপক। কৃষি বিভাগের সহায়তায় উপযুক্ত চাষাবাদের কারণে প্রথম চাষে বাম্পার ফলন পেয়েছে কৃষকরা। ফুলে ফুলে ভরে গেছে পুরো মাঠ। তাই দেখে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। কম খরচে বেশি লাভের কারণে সূর্যমুখী চাষের দিকে ঝুঁকছে অনেক চাষি। তাই বরকল উপজেলা জুড়ে সূর্যমুখী চাষাবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নের মগবান এলাকার স্নেহাংশু চাকমা বলেন, আমার এক একর চাষের জমি রয়েছে। অতীতে আমি এই জমিতে তামাক চাষ করতাম। কিন্তু পরিবেশ দূষণের কারণে তামাক চাষ ছেড়ে সূর্যমুখী চাষ শুরু করেছি। বর্তমানে ৩৩ শতক জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। এ জন্য সহায়তা করেছে কৃষি বিভাগ। একই সঙ্গে আমার সূর্যমুখীর বাগানের উৎপাদিত বীজ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ক্রয় করবে।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর পাহাড়ে তামাকের আগ্রাসন বন্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছে। রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় ৫ হেক্টর, বরকল উপজেলায় ২৫ হেক্টর, জুরাছড়ি উপজেলায় ৫ হেক্টর, লংগদু উপজেলার ২০ হেক্টর এবং বাঘাইছড়ি উপজেলায় ১০ হেক্টর জমি সূর্যমুখী চাষের আওতায় আনা হয়েছে। এভাবে যদি চাষিদের চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন আনা যায় তাহলে পাহাড়কে তামাকের আগ্রাসন থেকে মুক্ত করা যাবে। ক্ষতিতে পড়বে না কৃষকরাও।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর