শিরোনাম
শনিবার, ২২ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

কমছে করোনায় সংক্রমণ-মৃত্যু

ভারতীয় ভেরিয়েন্ট ঠেকাতে সতর্কতার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

কমছে করোনায় সংক্রমণ-মৃত্যু

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু রেকর্ড ছুঁয়েছে। এক দিনে শত মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারী এই ভাইরাস। তবে এখন কমতে শুরু করেছে সংক্রমণ ও মৃত্যুহার। কিন্তু দেশে ভারতীয় ভেরিয়েন্টের রোগী শনাক্ত হওয়ায় সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ হাজার ৩১০ জনে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি ৪৮২টি ল্যাবরেটরিতে ১৮ হাজার ৩৯৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৮ হাজার ২৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হন ১ হাজার ৫০৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ২২ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ হাজার ৫২৯ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৯ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত ২০ মে করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৫৭ জন। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। গত ১৯ মে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬০৮ জন। রাজধানীসহ সারা দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুহার হ্রাস পেলেও জনমনে করোনা আতঙ্ক কাটছে না। গত কিছুদিন ধরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। দৈনিক গড়ে নতুন করোনা আক্রান্ত  রোগী শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে অবস্থান করছে। করোনায় মৃতের সংখ্যাও ২৫ থেকে ৪০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে।

স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ৫ এপ্রিল থেকে চলমান লকডাউনসহ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুহার কমে এসেছে। তবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদের আগে ও পরে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গ্রাম ও শহরমুখী লাখো মানুষের ঢল নিয়ে তারা চিন্তিত। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এর প্রতিফলন দেখা যাবে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। এ ছাড়া সংখ্যায় কম হলেও ভারতীয় ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীও শনাক্ত হয়েছে।

সরকার ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত সীমান্ত পথে কঠোর নজরদারি করছে। মাত্র   তিনটি বর্ডার দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে ভারত ও বাংলাদেশে যাত্রী আসা-যাওয়া করছে। ভারত থেকে ফেরা শনাক্তকৃত ভারতীয় ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীদের কোয়ারেন্টাইনে রেখে এবং তাদের সংস্পর্শে আসা সবার প্রতি নজরদারি রাখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ভাইরোলজিস্ট ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, মুখে মাস্ক পরলে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানলে করোনার যে কোনো  ভেরিয়েন্ট রুখে দেওয়া সম্ভব। তাই বাইরে বের হলে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। টিকা নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর