শিরোনাম
রবিবার, ২৩ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

বিটুমিন আমদানিকারকদের হাতে দেশ কেন জিম্মি

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকারিয়া

বিটুমিন আমদানিকারকদের হাতে দেশ কেন জিম্মি

বিটুমিন আমদানিকারকদের হাতে দেশ কেন জিম্মি হয়ে থাকবে, এমন প্রশ্ন তুলেছেন সরকার গঠিত ‘বিটুমিনের গ্রেড নির্ধারণ কমিটি’র সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের

পুরকৌশল বিভাগের সাবেক ডিন ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকারিয়া। তিনি বলেছেন, ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড-ইআরএল বিটুমিন তৈরি করে এবং বিদেশ থেকেও কিছু বিটুমিন আমদানি হয়। যে বিটুমিনই আসুক না কেন, যথাযথ মান পরীক্ষায় যদি উত্তীর্ণ না হয়, তবে তা বাতিল করে দেবে কর্তৃপক্ষ। কারণ, বিটুমিনের মান খারাপ হলেই রাস্তার ওপরের অংশ নষ্ট হয়ে যায়।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকারিয়া। তিনি বলেন, প্রকৌশলীরা জানে, রাস্তার মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ গ্রেড ব্যবহার করতে হবে। এখন বিটুমিনের সরবরাহকারী যা সরবরাহ দিল, তা ইঞ্জিনিয়ার দেখল। তাকে তো প্রতিদিন পরীক্ষা করতে হবে। বিটুমিন কনস্ট্রাকশন অনেক বেশি স্পর্শকাতর। বিটুমিনের কোয়ান্টিটি ও বিটুমিনের গ্রেডের ওপরে তার কনস্ট্রাকশন সফল হবে কিনা তা অনেকটা নির্ভর করে। তাই প্রতিদিন টেস্ট করতে হবে।

তিনি বলেন, কোয়ালিটি কন্ট্রোলে টেস্টের আগে একজন ইঞ্জিনিয়ারকে অনুমোদন দিতে হয়। তখনই ঠিক করা হয়, কোন বিটুমিনটি ব্যবহার হবে। আমি যদি এলজিইডি বা সড়কের ইঞ্জিনিয়ার হই, তবে বাজারে যে বিটুমিন পাওয়া যায়, তা মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়া নেবই না। এখানে নজরদারি বাড়ানো দরকার। সেই সঙ্গে সবারই সদিচ্ছাটা থাকতে হবে। একমাত্র সরকারের সদিচ্ছা থাকলে হবে না। যারা রোড ব্যবহারকারী জনগণ তাদের সদিচ্ছা থাকতে হবে। যারা রোড করছে, সেই কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা থাকতে হবে। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে, এলজিইডি তাদেরও সদিচ্ছা থাকতে হবে। সরকারের সদিচ্ছার কোনো অভাব নেই। আইনেরও অভাব নেই, এখন এটা বাস্তবায়ন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, পরীক্ষা করেই বিটুমিন পছন্দ করতে হবে। শুধু বিটুমিন আনার পর পরীক্ষা করলে হবে না। প্রতিদিন পরীক্ষা করতে হবে। এটা যদি না করি তাহলে কোনো অবস্থাতেই সড়ক টিকবে না।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, বিটুমিন আমরা যদি অনেক দিন ধরে ফেলে রাখি এবং এর মধ্যে বাতাস ঢুকলে বিটুমিনের মানের ক্ষতি হবেই। এখন রাস্তার মধ্যে যদি ফেলে রাখা হয় তার পরিবর্তন তো হবেই। এর জন্য সব থেকে উত্তম হলো- বিদেশ থেকে না এনে, যদি দেশেই উৎপাদন করা যায় এবং সেখান থেকে সরাসরি এনে আমরা ব্যবহার করতে পারি।

সর্বশেষ খবর