রবিবার, ২৩ মে, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

ঝিনাইদহে আঙুর চাষে সাফল্য

শেখ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহে আঙুর চাষে সাফল্য

ঝিনাইদহের মহেশপুরে এই প্রথম আঙুর চাষ করে সফল হয়েছেন এক কৃষক। মাত্র সাত মাসের মধ্যেই কৃষক আবদুর রশিদের আঙুর বাগানে ফল ধরা  শুরু করেছে। তিনি আশা করছেন, প্রথমবারেই  কয়েক মণ আঙুর সংগ্রহ করতে পারবেন এবং তার বাগানের আঙুর সুস্বাদু হবে। আঙুর গাছে ফল আসার পর পাকতে সময় লাগে তিন-চার মাস। তিনি মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের যুগিহুদা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

কৃষক আবদুর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে সবজি ও ফল চাষ করে আসছেন। এলাকায় তিনি আদর্শ কৃষক হিসেবে পরিচিত। নতুন নতুন ফল ও সবজি লাগানোই তার শখ। সম্প্রতি সোনালি রঙের তৃপ্তি জাতের তরমুজ চাষ করে ব্যাপক ফলনও পেয়েছেন তিনি। চলতি মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় আড়াই লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তিনি। কৃষক আবদুর রশিদ জানান, গত সাত মাস আগে শখ করে ১০ কাঠা জমিতে ছমছম, সুপার সনিকা, কালো জাতসহ কয়েকটি জাতের ৭৫টি আঙুরের চারা রোপণ করেন। চারাগুলো ভারত ও ইতালি থেকে সংগ্রহ করেছি। অধিকাংশ গাছেই ব্যাপক আঙুর ধরেছে। প্রতিটি গাছে ৫-৭ কেজি করে আঙুর ধরেছে। তিনি আশা করছেন ৬০টি গাছ থেকে ২৫০-৩০০ কেজির মতো আঙুর সংগ্রহ করতে পারবেন। তিনি বলেন, আঙুরের পাশাপাশি পাঁচ বিঘা জমিতে মাল্টা, কমলা লেবু চাষও করেছি। ইউটিউবে আঙুর, তরমুজ, কমলা চাষের ভিডিও দেখেই আগ্রহী হয়েছি। আমার বাগানের আঙুর আমি খেয়ে দেখেছি খুব সুস্বাদু এবং এলাকার পাঁচ-সাত শ মানুষকে খাইয়েছি। তারা সবাই মিষ্টি ও সুস্বাদুর কথাই জানিয়েছেন। মহেশপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. হাসান আলী জানান, মহেশপুর উপজেলার আবহাওয়া ও মাটি বিভিন্ন ফল চাষের জন্য উপযোগী।

এর আগে এ এলাকার কৃষকরা আম, পেয়ারা, বাউকুল, আপেলকুল, তরমুজ চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। কৃষক আবদুর রশিদ তার ১০ কাঠা জমিতে কয়েক প্রজাতির আঙুর গাছের চারা রোপণ করেন।

ব্যাপক ফলন আসবে বলে আশা করছি। রশিদের দেখাদেখি এলাকার অনেক কৃষক আঙুর চাষে উদ্বুদ্ধ হবেন। আমরা তাকে সার্বিক সহায়তা করে আসছি।

সর্বশেষ খবর