শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

রাজবাড়ীর পদ্মার চরে ক্ষতির মুখে বাদাম চাষিরা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর পদ্মার চরে ক্ষতির মুখে বাদাম চাষিরা

রাজবাড়ীর বিস্তীর্ণ পদ্মার চরে ব্যাপক চীনাবাদাম চাষ হয়। উৎপাদন খরচ কম এবং সারা বছর চাহিদা থাকায় বাদাম চাষ করেন জেলার সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলার কৃষক। প্রতি বছর আশানুরূপ ফল ও ভালো দাম পেলেও এ বছর সময়মতো বৃষ্টি না থাকায় বেশির ভাগ বাদাম গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি গাছগুলোয় সেভাবে ভালো ফলন হয়নি। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক। অন্যদিকে আসন্ন বর্ষায় নদীর চর তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় অপরিপক্ব বাদাম আগেভাগেই তুলে ফেলতে হচ্ছে তাদের। পদ্মাপাড়ের বাদাম চাষিদের অভিযোগ আবহাওয়া অনুকূল না থাকা ও কৃষি কর্মকর্তাদের অসহযোগিতায় আশানুরূপ ফলন পাননি। সরেজমিন দেখা যায়, পদ্মার বেশির ভাগ চরের বাদাম ঘরে তোলা হয়েছে। চর থেকে বাদাম গাছ তুলে গাছ থেকে বাদাম বিচ্ছিন্ন করছেন শত শত নারী-পুরুষ।

বেশির ভাগ গাছ কালো হয়ে গেছে। প্রতিটি গাছে সেভাবে ফলন দেখা যায়নি। রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের বাদাম চাষি আজগর মন্ডল বলেন, ‘বাদাম উৎপাদনে প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৮-৯ হাজার টাকা। এ বছর প্রতি বিঘা জমিতে বাদাম উৎপাদন হয়েছে ৩ থেকে ৪ মণ। বর্তমানে প্রতি মণ বাদামের মূল্য ২ হাজার টাকা। সে ক্ষেত্রে প্রতি বিঘায় ২ হাজার টাকা করে লোকসান হচ্ছে।’ গোয়ালন্দ উপজেলার বাদাম চাষি হামিল মন্ডল বলেন, ‘এ বছর খরায় বেশির ভাগ গাছ মরে গেছে। বৃষ্টিও সেভাবে ছিল না।

এসব প্রতিকূলতার মধ্যেও কৃষি কর্মকর্তারা আমাদের কোনো পরামর্শ দেননি।’ রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক এস এম সহীদ নূর আকবর বলেন, ‘রাজবাড়ীতে এ বছর ৯৩৫ হেক্টর জমিতে চীনাবাদামের চাষ হয়েছে। তবে ফলন ভালো হয়নি বলে কৃষকের অভিযোগ রয়েছে। কৃষি অফিসারদের মাঠে গিয়ে কৃষককে আরও ব্যাপক পরামর্শ প্রদানে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

সর্বশেষ খবর