শনিবার, ১০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

গরুর হাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা

প্রতিদিন ডেস্ক

গরুর হাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা

লকডাউনের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট বন্ধ করেছে প্রশাসন। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা রয়েছেন সংকটে। ঈদের আগে পশুর হাট খুলবে কি না এ নিয়ে খামারি ও ক্ষুদ্র গরু ব্যবসায়ীরা শঙ্কায় পড়েছেন। তা ছাড়া অনলাইন পশুর হাটেও তেমন সাড়া মিলছে না। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য-

রংপুর : রংপুরে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে অনলাইনে ১১টি পশুর হাট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। অন্যদিকে ‘পশুরহাট’ নামে একটি অনলাইন পেজ খোলা হলেও এখন পর্যন্ত সাড়া মেলেনি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে অর্ধশত গরুর হাট রয়েছে। এর মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় চারটি। এসব হাটে প্রচুর গরু বিক্রি হয়। করোনা সংক্রমণ রোধে রবিবার থেকে হাটগুলো বন্ধ রয়েছে। করোনার কারণে এলাকার খামারিরা চাচ্ছেন দ্রুত তাদের পশু বিক্রি করতে। ক্রেতার মধ্যে অনেকে আগেভাগে কোরবানির গরু কিনতে চান কিছু কম দামে। কিন্তু এবার হাট বন্ধ থাকায় তা-ও করতে পারছেন না অনেক ক্রেতা। অন্যদিকে পশু মালিকরা বেশি দাম পাওয়ার আশায় বসে রয়েছেন। তাদের মতে, ঈদের আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আরও অনেক হাট পাওয়া যাবে, সে সময় বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন। তবে বিক্রেতার কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন ঈদের আগে পশুর দাম কমে যেতে পারে।

জয়পুরহাট : ঈদ সামনে রেখে সীমান্ত জেলা জয়পুরহাটের খামারিরা গরু পালন করেন। সারা বছর প্রতিপালন খরচের পর আশায় থাকেন গরু বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়ার। এবার পশুর হাটগুলো বন্ধ থাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা গরু কিনতে আসতে পারছেন না। কোরবানিতে গরু বিক্রি করতে না পারলে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা তাদের।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এ জেলায় ১২ হাজার খামারি প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার গরু মোটাতাজা করেছেন। এ বছর জেলায় কোরবানির জন্য গরু, মহিষ ছাগলের চাহিদা ১ লাখ ২০ হাজার। গোখাদ্য, ওষুধ, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় গরু প্রতিপালনে খরচও বেড়েছে বহুগুণ। এর মধ্যে লকডাউনে গোহাটি বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। অনলাইনেও সাড়া মিলছে না ক্রেতার। তাই হতাশ তারা।

ঠাকুরগাঁও : লকডাউনে জেলার গরুর হাটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দূরপাল্লার যানবাহন না চলায় অন্য জেলা থেকে কোনো ক্রেতা খামারেও আসছেন না। খোঁচাবাড়ী হাটের ইজারাদার মাসুদ রানা বলেন, ‘আগে প্রতি হাটে কমপক্ষে ৫ হাজার পশু বিক্রি হতো। ঈদের আগে হাটগুলো খুলে দেওয়া না হলে মরণ ছাড়া গতি থাকবে না।’

সিরাজগঞ্জ : করোনার কারণে হাট না বসায় এবার পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় জেলার খামারিরা। চড়া দামে গোখাদ্যে কিনে গবাদি পশু পালন করে ন্যায্য দামে বিক্রি করতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে। এ অবস্থায় সরকারের কাছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির আগে হাট বসানোর পাশাপাশি পাইকারদের যাতায়াতের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

সর্বশেষ খবর