রবিবার, ১১ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

কোরবানির হাটে সাতক্ষীরার নবাব

মনিরুল ইসলাম মনি, সাতক্ষীরা

কোরবানির হাটে সাতক্ষীরার নবাব

নাম তার নবাব। ওজন ১ হাজার কেজির বেশি। তাই দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। ওজন ও আকৃতি বিশাল হওয়ায় কোরবানির এ পশুটি গোয়ালঘরের দেয়াল ভেঙে বের করতে হয়েছে। প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থী ষাঁড়টি দেখতে ভিড় করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালীর গ্রাম্য ডাক্তার ফিরোজ হোসেন অনেক আদরযত্নে লালনপালন করেন ষাঁড়টি। চালচলন আর ঘুমানোর ভাবভঙ্গি অনেকটা নবাবের মতো। তাই তার মালিক নাম দিয়েছেন ‘নবাব’। সুঠামদেহী ও বিশালাকৃতির ষাঁড়টির ওজন ২৫ মণ। তাই ছোট দরজা দিয়ে বাইরে আনা সম্ভব হয়নি নবাবকে। কোরবানি উপলক্ষে দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।

ষাঁড়টির মালিক খামারি ফিরোজ হোসেন জানান, বিশালাকারের ষাঁড় পরিচর্যা করা খুবই কঠিন। খাবার হিসেবে প্রাকৃতিক খাবার সবুজ ঘাস, ভুসি, খইলও ভুট্টা দিয়ে নবাবকে সন্তানের মতো বড় করে তোলা হয়েছে। দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টি লালনপালন করছেন। নবাবকে বড় করে তুলতে তার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। লকডাউনের কারণে ষাঁড়টির বিক্রি ও ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কায় আছেন নবাবের মালিক ফিরোজ হোসেন ও তার পরিবার। দূরদূরান্ত প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী কোরবানির এ পশুটি দেখতে ভিড় করছেন। সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, নবাব এখন সাতক্ষীরাই নয়, দেশে কোরবানির বড় গরুর তালিকার মধ্যে অন্যতম। তিনি আরও জানান, কোরবানির ঈদ লক্ষ করে জেলায় ৩০ হাজার ৪৮৬টি গরু ও ২৫ হাজার ৯১৫টি ভেড়া ও ছাগল প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করেছেন খামারিরা। কিন্তু করোনার প্রভাব আর লকডাউনে পশুহাট বন্ধ থাকায় অনলাইনে পশু বিক্রি চালু করা হয়েছে। মহামারী করোনা আর লকডাউনের কারণে পশুর উপযুক্ত দাম পাবেন কি না সে শঙ্কা দেখা দিয়েছে খামারিদের মাঝে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর