বুধবার, ১১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা
১৯ যমজ শিশুকে ভর্তির নির্দেশ

অধ্যক্ষের মুখে এমন ভাষা অপ্রত্যাশিত : হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের বিষয়ে হাই কোর্ট বলেছে, ‘এটা আনএক্সপেকটেড (অপ্রত্যাশিত)। একজন অধ্যক্ষের মুখ থেকে এ ধরনের ভাষা আশা করা যায় না। ফোনালাপে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা যদি সত্যি হয় তাহলে সেটি অবশ্যই নিন্দনীয়।’ অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর সঙ্গে ভিকারুননিসা অধ্যক্ষের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় করা রিটের শুনানিতে হাই কোর্ট গতকাল এমন মন্তব্য করে। পরে ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ। তদন্ত প্রতিবেদন দেখে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ঠিক করে দেয় আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। পরে আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৭ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ফোনালাপ ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষার্থী তার বাবাকে অডিওটি শুনায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে আসায় এরই মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সম্পর্কে সব শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। সার্বিক বিষয়টি নিয়ে আমরা হাই কোর্টে রিট দায়ের করি। আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ১ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করে দিয়েছে।

১৯ যমজ শিশুকে ভর্তির নির্দেশ : অন্যদিকে ১৯টি পরিবারের ১৯ যমজ শিশুকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। পৃথক একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাই কোর্ট বেঞ্চই এ আদেশ দেয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য যারা আবেদন করেছিলেন তাদের মধ্যে ১৯ যমজ শিশু ছিল। এদের মধ্যে একজন করে লটারিতে ভর্তি হয়েছিল, আরেকজন করে ভর্তি হতে পারেনি। যমজ সহোদরদের যেন ভর্তি করে নেওয়া হয় এ জন্য আমরা ভিকারুননিসা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

সর্বশেষ খবর