করোনার আঘাতে অর্থনীতির বেশির ভাগ খাত ক্ষতিগ্রস্ত। তবে প্রতিদিন চাঙা হয়ে উঠছে শেয়ারবাজার। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ, ব্যাংক আমানতে সুদের স্বল্প হার, অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের সুযোগ কমায় সবাই আগ্রহী হয়ে উঠছে শেয়ারবাজারে। বাজারে নতুন করে বিনিয়োগ আসায় প্রতিদিন বাড়ছে সূচক। গত ৫ মাসের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৫ হাজার পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৭ হাজার পয়েন্টে পৌঁছেছে। এই সময় বাজার মূলধন বেড়েছে এক লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারের এই উত্থানে সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে হবে। না বুঝে যারা বিনিয়োগ করবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কর্তৃপক্ষ কঠোর নজরদারি রাখছে। বিনিয়োগ নিরাপত্তা দেওয়া কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে ২২টি প্রতিষ্ঠান সরাসরি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছে। এরমধ্যে বেসরকারি ব্যাংকের পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে ব্যাংকগুলো তাদের বিনিয়োগ সক্ষমতার ৬০ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছে। এখনো ৪০ শতাংশ বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো সমন্বিতভাবে মূলধনের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারবে। যা পরিপালন করছে ব্যাংকগুলো। জানা গেছে, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা ২২টি ব্যাংকের সমন্বিতভাবে ৪৭ হাজার ৬৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার মূলধন রয়েছে। এ হিসেবে ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে ৫০ শতাংশ হারে ২৩ হাজার ৮২৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ করেছে ১৪ হাজার ৩৬৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। যা মূলধনের ৩০ শতাংশ বা বিনিয়োগ সক্ষমতার ৬০ শতাংশ। এসব বিনিয়োগ গত কয়েক মাসে হয়েছে শেয়ারবাজারে। চলতি বছরেও বাজেটে কালো টাকা বিনিয়োগের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর প্রদানের পর বিনা প্রশ্নে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে সুযোগ দেওয়া হয়। এই সুযোগে শেয়ারবাজারে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগ হয়েছে। বাজারের চাঙ্গা ভাবে যেসব বিও অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় ছিল গত কয়েক মাসে বেশিরভাগ হিসাবে নতুন করে লেনদেন হচ্ছে। নতুন বিও অ্যাকাউন্টও বাড়ছে। গত এক মাসের ব্যবধানে বিও অ্যাকাউন্ট বেড়েছে ১৩ হাজার। গত ২ আগস্ট বাজারে বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ১৯ লাখ ৬১ হাজার। ২ সেপ্টেম্বর হয়েছে ১৯ লাখ ৭৪ হাজার। বাজারে এখন প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হচ্ছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। গত বছর যা একই সময় ছিল মাত্র ৩০০ কোটি টাকা। সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ে শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কিছু শেয়ার এখন অতি মূল্যায়িত। ব্যাংক আমানতের সুদের হার কম থাকায় বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে ঝুঁকছেন। তবে অতিমূল্যায়িত শেয়ারে বিনিয়োগ নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বাজার কারসাজি সিন্ডিকেট সব সময় সক্রিয় থাকে। তাদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়াতে হবে। মানুষের বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে তাদের। ডিএসইর সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান বলেন, আগামী বছর পাঁচ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হবে। ভারতের শেয়ারবাজারের সূচক ৫৪ হাজার। সূচক কোনো ব্যাপার না। শেয়ারের দাম বাড়লে, সূচক বাড়বে। অনেকে শেয়ারবাজার টিকবে কি-না জিজ্ঞেস করে। আমি বলি ১০০ শতাংশ টিকবে। কারণ ট্রেডিং মার্কেট টিকে। বাজারে কারেকশন হতে পারে। কারেকশন থাকবে। যেমন ৫০ টাকার শেয়ার যখন ১০০ টাকায় উঠে, সেটি ৮০ টাকায় নামতে পারে। তবে সেটি ৫০ টাকায় নামবে না। বাজার এখন সঠিক জায়গায়ই আছে।
শিরোনাম
- ঢাকা উত্তরে প্রথম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু
- সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা আজ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
- হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
- ভিকারুননিসায় রবিবারের সব পরীক্ষা স্থগিত
- ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
- ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
- আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
- পেরুর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
- ২৩ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি
- এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
- ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর নিরাপত্তাঝুঁকি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি
- তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুড়িচংয়ে দোয়া মাহফিল
- ধর্মের দোহাই দিয়ে টিকেট বিক্রি করে কাজ হবে না: তানিয়া রব
- জবিতেও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে রবিবার
- সোনারগাঁয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মান্নানের সম্প্রীতি সমাবেশ
- ভূমিকম্প: ঢাবিতে রবিবারের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
নতুন বিনিয়োগে চাঙা শেয়ারবাজার
আলী রিয়াজ
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর