বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে গণসংগীত

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে গণসংগীত

গণসংগীত মানুষের মন আলোড়িত ও আন্দোলিত করে। দেশের যে কোনো ক্রান্তিকালে গণসংগীত শুরু থেকেই ভূমিকা রেখে আসছে। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ সব সংগ্রামেই গণসংগীতের ছিল প্রশংসনীয় অংশগ্রহণ। এরই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে গণসংগীতের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ।

গতকাল বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত ‘সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে গণসংগীত’ শিরোনামে গণসংগীতের এ আসরে প্রতিবাদে সোচ্চার হন শিল্পীরা। গণসংগীত সমন্বয় পরিষদভুক্ত দলগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠানে গণসংগীত পরিবেশন করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, বহ্নিশিখা, সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠী, স্বভূমি লেখক শিল্পীকেন্দ্র, ভিন্নধারা, সমস্বরসহ বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা।

তোমার পথ ঢেকেছে মন্দির মসজিদে, একই চাঁদ ওঠে রাসপূর্ণিমায়, মানুষ মানুষের জন্য, আমরা বিশ্বের বুকে গড়ব, মানুষের মাঝে বসবাস করি, আমার প্রতিবাদের ভাষা, বাংলার হিন্দু বাংলার মুসলমান, গ্রামের নওজোয়ান, একাত্তরের শকুনগুলো উড়ছে আবার দেশজুড়ে, কী যে আজগুবি কারবার ওদের চিনতে হয় বারবার, মানব না এ বন্ধনে ইত্যাদি দলীয় গানের মধ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিকে প্রতিবাদে উত্তাল করে তোলেন শিল্পীরা। দলীয় পরিবেশনার পাশাপাশি আসরে একক সংগীত পরিবেশন করেন আরিফ রহমান, সমর বড়ুয়া, নবনীতা জাইদ চৌধুরী, মোহনা দাস ও এস এম মেজবা উদ্দিন।

গণসংগীতের আগে প্রতিবাদসভায় বক্তৃতা করেন গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, কাজল দেবনাথ প্রমুখ।

বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান বক্তারা। এ ছাড়া সাম্প্রদায়িক অপরাধে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণও দাবি করেন তারা।

শতবর্ষে নীলিমা ইব্রাহিম নাট্যোৎসব ২০২১ : চলতি বছরের ১১ অক্টোবর ছিল বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সাবেক সভানেত্রী, সমাজসেবী, শিক্ষাবিদ ড. নীলিমা ইব্রাহিমের জন্মশতবর্ষ। নাট্য উৎসবের মধ্য দিয়ে সাবেক সভানেত্রীর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি। ‘শতবর্ষে নীলিমা ইব্রাহিম নাট্যোৎসব ২০২১’ শিরোনামের এ উৎসবের প্রথম দিন আজ থেকে পরপর পাঁচ দিন মঞ্চায়ন হবে পাঁচটি নাট্যদলের পাঁচটি নাটক। আজ প্রথম দিন সন্ধ্যায় বেইলি রোডের ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হবে ঢাকা থিয়েটারের ‘নিমজ্জন’। আগামীকাল সন্ধ্যায় মঞ্চায়ন হবে নাট্যচক্রের ‘একা এক নারী’, শুক্রবার সন্ধ্যায় মঞ্চায়ন হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘কহে ফেসবুক’, শনিবার সন্ধ্যায় মঞ্চায়ন হবে থিয়েটারের ‘মেরাজ ফকিরের মা’ আর রবিবার মঞ্চায়ন হবে লোক নাট্যদলের (সিদ্ধেশ্বরী) নাটক ‘কঞ্জুস’। উৎসব শুরুর আগের দিন গত সন্ধ্যায় মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শুরুতেই নীলিমা ইব্রাহিমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মহিলা সমিতির সহসভানেত্রী ড. মারুফী খান। সভানেত্রী সিতারা আহসানউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক তানিয়া বাখ্ত। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী, রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ, রামেন্দু মজুমদার, পরিবারের পক্ষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইতি ইব্রাহিম খান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর