গাজীপুর মহানগরীর তারগাছ এলাকায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছেন স্বামী। গতকাল রাত ৮টায় তারগাছ মেম্বারবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম জুয়েনা (২০)। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানার সুরিগাঁও গ্রামের রাকিব আলীর মেয়ে। ঘটনার পর থেকে স্বামী সুজন পলাতক রয়েছেন। টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহত জুয়েনা একটি পোশাক কারখানায় হেলপার পদে চাকরি করতেন। তিন বছর আগে ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা সুজনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর জীবিকার তাগিদে চলে আসেন গাজীপুরে। পেশায় রডমিস্ত্রি হওয়ায় প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে থাকতেন সুজন। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ মতবিরোধ চলছিল সুজনের। এরই জের ধরে গতকাল রাত ৮টায় জুয়েনাকে ভাড়া বাসার ছাদে নিয়ে যান সুজন। সেখানে একপর্যায়ে তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে জখম করে পালিয়ে যান সুজন। পরিবারের লোকজন আহত জুয়েনাকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জুয়েনার বাবা রাকিব আলী বলেন, সুজন নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করত। আজ (গতকাল) আবারও নেশাদ্রব্য সেবন করে আমার মেয়েকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে। আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। এ ব্যাপারে গাছা থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীরা থানায় এসে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।