শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

জোয়ারে পানির নিচে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ

দ্রুত সমাধান চান ব্যবসায়ীরা

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

জোয়ারে পানির নিচে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ

খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই এলাকায় হাঁটুসমান জোয়ারের পানি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

চট্টগ্রামের ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র ঐতিহ্যবাহী খাতুনগঞ্জকে পানির নিচে দেখা যায় প্রায় সময়। চাক্তাই খাল ও মহেশ খালের জোয়ারের পানির কারণে খাতুনগঞ্জের চাক্তাই, আসাদগঞ্জসহ এলাকার দোকানপাট, ঘরবাড়িসহ ৫ শতাধিক প্রতিষ্ঠান গতকাল পানির নিচে ছিল টানা দেড় ঘণ্টা। এই দেড় ঘণ্টায় ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ভিতরে পানি ঢুকে আসবাবপত্র ও পণ্যদ্রব্য নষ্ট হয়েছে। তবে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তবে দ্রুত বিষয়টির সমাধান না হলে প্রতিদিনই জোয়ারের পানিতে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট পানির নিচে চলে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।  গতকাল বেলা দেড়টার দিকে জোয়ারের পানি বেড়ে টানা দেড় ঘণ্টা স্থায়ী হয়।

চট্টগ্রাম এক্স কাউন্সিলর ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও চাক্তাই এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী নেতা জামাল হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘এত বেশি জোয়ারের পানি আগে কখনই ওঠেনি। খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই, আসাদগঞ্জ, বাকলিয়াসহ এলাকার আরও কিছু নিচু এলাকার ঘরবাড়ি ও দোকানপাটের ভিতরে হাঁটুসমান পানি উঠে যায়। এ সময় ঘরবন্দি ছিল অনেক মানুষ। আর এর জন্য দায়ী চাক্তাই খাল ও মহেশ খাল। এ সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের ভোগান্তির মধ্যেই থাকতে হবে।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ও সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জোয়ারের পানির কারণে অনেক গুদামে পানি ঢুকে পড়ে। চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, আসাদগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার দোকানের ভিতরে পানি ঢোকায় অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে রয়েছেন শ্রমিকরা। শ্রমিকরা না থাকায় অনেক মালামাল বের করা যায়নি। এ ছাড়া অনেক দোকান এখনো খোলেনি বলে তিনি জানান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোগ্যপণ্যের বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই, আসাদগঞ্জ, বাকলিয়া, সোনালী রোড, আশরাফ আলী রোডসহ নিচু এলাকাগুলোতে জোয়ারের পানি উঠেছে। বেলা দেড়টার দিকে পানি উঠে দেড় ঘণ্টা স্থায়ী হয়। এসব পানি কর্ণফুলী নদী থেকে শাখা খালে ঢুকে যায়। পানি বাড়ায় নিচু গুদাম, আড়ত, ঘরবাড়ি ও দোকানের এক থেকে দেড় ফুট তলিয়ে যায়। সড়কেও ছিল হাঁটুসমান পানি। এতে ক্রেতা-বিক্রেতারা দুর্ভোগে পড়েন। সব মিলিয়ে ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি, দোকানপাট পানির নিচে ছিল। নষ্ট হয়েছে অনেক ভোগ্যপণ্য।

সর্বশেষ খবর