বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

বিস্ফোরণে শিশুর মৃত্যু পরিবারের পাঁচজন মুমূর্ষু

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার কেরানীগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে মারিয়াম আক্তার (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুর ২টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। দগ্ধ আরেক শিশুসহ পরিবারের অন্য পাঁচজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তারা হলেন- ইয়াসিন (১২), শাহাদাত হোসেন (২০), সোনিয়া আক্তার (২৬), বেগম (৬০) এবং ইদুনি (৫০)।

বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সাবেক আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল জানান, কেরানীগঞ্জে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয়ে নারী শিশুসহ ছয়জনকে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে এক শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে মারা যায়। তার শরীরে ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়। আরও পাঁচজন চিকিৎসাধীন আছেন, তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। গতকাল সকাল সাড়ে ৫টায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার জিনজিরা ইউনিয়নের মান্দাইল জেলে পাড়া এলাকায় সুলতানা বেগমের বাড়ির নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, ভোরে ইদুনি রান্না ঘরে চুলা ধরাতে যায়, তখন ম্যাচ ধরানোর সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। এদিকে কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি এলাকাবাসীর বরাতে জানান, সোনিয়া আক্তার পেশায় একজন মহিলা কবিরাজ। তিনি তার পরিবারের ছয় সদস্য নিয়ে সুলতানা বেগমের বাড়ির নিচতলায় একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন। সোমবার রাতে গ্যাসের চুলায় রান্না-বান্না করে তারা সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। অসাবধানতাবশত ওই গ্যাসের চুলা থেকে গ্যাস নির্গত হয়ে তাদের শয়নকক্ষেও ঢুকে পড়ে। সকাল ছয়টায় কবিরাজ সোনিয়া আক্তার তার আসন ঘরে মোমবাতি জ্বালাতে গেলে এ সময় বিকট শব্দে গ্যাসের বিস্ফোরণ ঘটে।

এতে ওই ফ্ল্যাটের দুই শিশুসহ ছয়জনই দগ্ধ হয়। তাদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে দ্রুত উদ্ধার করে তাদের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন অর রশিদ বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে। তদন্তের পর গ্যাস বিস্ফোরণের কারণ জানা যাবে।

 

 

সর্বশেষ খবর