বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না : কাদের

নেত্রকোনায় গতকাল জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের -বাংলাদেশ প্রতিদিন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে। শেখ হাসিনার খাঁটি কর্মী হতে হবে।

গতকাল সকালে নোয়াখালী শহর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার রাজধানীর বাসভবন থেকে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত  হন। নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন, সহিদ উল্লাহ খান সোহেল প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা শাসক নন, তিনি জনগণের সেবক। মির্জা ফখরুল সাহেবদের অপপ্রচারের বিপরীতে আমরা গঠনমূলক সত্য প্রকাশ করব এবং কাজ দিয়ে প্রমাণ করব। আন্দোলনের মাধ্যমে নির্যাতনের জবাব দেওয়া হবে- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন রেখে বলেন, নির্যাতন কাকে বলে, বিএনপি কত হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে? ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, ২১ আগস্টের হত্যাকান্ড। আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতা-কর্মীকে বিএনপি হত্যা করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন বিএনপি নেতারা ঘরে আছে অথচ আমরা তাদের শাসনামলের পাঁচ বছরে ৫০ দিনও ঘরে থাকতে পারিনি। বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করুক কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আগুন নিয়ে খেললে, সহিংসতা করতে এলে আমরা সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুত। জনগণের জানমাল রক্ষায় তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি সম্পাদকে নতুন মুখ

ছয় বছর পর গতকাল নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম সভাপতি ও অ্যাডভোকেট শামসুর রাহমান ভিপি লিটন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। সভাপতি, সম্পাদক পদে দুজনই নতুন মুখ। এর আগের কমিটিতে সভাপতি ছিলেন মতিউর রহমান খান ও সম্পাদক ছিলেন আশরাফ আলী খান খসরু। মোক্তারপাড়া মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের বিদায়ী কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান খান।  এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। এ সময় তিনি বিএনপির হুমকি-ধমকিতে জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ মাঠে থাকবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকবে আওয়ামী লীগ। পরে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। এর আগে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান।

সর্বশেষ খবর