অর্থ বিনিয়োগ করলে অল্প সময়ের মধ্যে কয়েক গুণ মুনাফার আশ্বাস দিত চক্রটি। সেই সঙ্গে ছিল খণ্ডকালীন চাকরির প্রলোভন। এজন্য নেওয়া হতো অগ্রিম টাকা। এভাবে হাজার হাজার মানুষকে ফাঁদে ফেলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন চক্রটির সদস্যরা। তবে এবার আর শেষরক্ষা হয়নি তাদের। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে প্রতারক চক্রটির তিনজন সদস্য। তারা হলেন মূলহোতা আকাশ (২২), রাশাদ (২৮) ও তাদের সহযোগী আসাদ (৩০)। তাদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও ছদ্মনামে ব্যবহৃত বিভিন্ন সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে। গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসিম উদ্দীন। তিনি বলেন, রাজধানীর ধানমন্ডি, ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তঘেঁষা গ্রাম ও দিনাজপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে সিআইডির সাইবার ক্রাইম অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন অপারেশন টিম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই গ্রেপ্তারকৃতরা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। এ চক্রের সঙ্গে দেশি-বিদেশি আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্তে প্রতারণা চক্রের মূল রহস্য উন্মোচিত হবে এবং জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান সিআইডি কর্মকর্তা।