শিরোনাম
রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বগুড়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল

বগুড়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল। অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন পানিফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে বগুড়ার কৃষকদের। জেলার চাহিদা মিটিয়ে রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুরসহ দেশের পাইকাররা এ ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। দেখতে শিঙাড়ার মতো বলে স্থানীয়ভাবে শিঙাড়া নামে পরিচিত। জানা গেছে, বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পানিফল উৎপাদনের সফলতায় চাষিরা অনুপ্রাণিত হয়ে কৃষি অফিস থেকে চাষাবাদ পদ্ধতি শিখে পতিত জমিতে চাষ করছেন। চাষ যেমন বাড়ছে তেমনি বাজারে     এ ফলের দামও ভালো। আর ভালো দাম পেয়ে কৃষকরাও খুশি। আষাঢ় মাসে যখন জলাশয়ে পানি জমতে শুরু করে তখন পানিফলের চারা ছেড়ে দেওয়া হয়। এর তিন মাস পর (ভাদ্র মাস থেকে) গাছে ফল আসা শুরু করে। প্রতি গাছ থেকে ৩/৪ বার ফল তোলেন চাষীরা। পৌষ মাস বা ডিসেম্বর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। এ ফলের কোনো বীজ নেই। মৌসুম শেষে পরিপক্ব ফল থেকে আবারও চারা গজায়। সে চারা পরে জলাশয়ে লাগানো হয়। প্রতি বিঘায় ১৪-১৫ মণ ফল হচ্ছে। বিঘাপ্রতি ৫-৬ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি মণ ১ হাজার টাকা দরে কেনাবেচা হয়ে থাকে। তবে মৌসুমের শুরুতে ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২৫ হেক্টর জমিতে পানিফল চাষ হলেও এবার ৩৬ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। যা থেকে ৯০০ টন ফল উৎপাদন হবে। গাবতলী, শিবগঞ্জ ও সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় পানিফল চাষ হয়ে থাকে। চাষি আবু বক্কর জানান, আমরা তিনজন মিলে এ বছর ১৪ বিঘা জমিতে পানিফল চাষ করেছি। ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ১৯৫ মণ ফল পেয়েছি। এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। সব খরচ বাদ দিয়ে লাভ হয়েছে ৬০-৭০ হাজার টাকা। সার কীটনাশকের ব্যবহার নেই বললেই চলে। পরিচর্যাও তেমন করতে হয় না। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. এনামুল হক জানান, এবার বগুড়ায় ৩৬ হেক্টর জমিতে পানিফল চাষ হয়েছে। যা থেকে ৯০০ টন ফল উৎপাদন হবে। পানিফল বা শিঙাড়া চাষ লাভজনক হওয়ায় সদর ও গাবতলী উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলায় আগের চেয়ে চাষাবাদ বেড়ে গেছে। অন্য ফসলের চেয়ে পানিফল চাষে কষ্ট কম হয়। কীটনাশক ও সার কম ব্যবহার হওয়ায় এটি পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার। কৃষি বিভাগ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে পানিফল চাষের বিস্তার ঘটাতে।

সর্বশেষ খবর