জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান বলেছেন, ‘আমরা দলীয় কার্যালয় সচল করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলকে চাঙা রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন নেতারা। জেলায় দলে কোনো গ্রুপিং নেই। দলীয় কর্মসূচি দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে পালন করা হচ্ছে।’ বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাহাবুব আলী খান বলেন, গোপালগঞ্জের পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গঠিত জেলার তিনটি সংসদীয় আসন দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনেও তিনটি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন। এলাকাটি আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। কারণ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া। এ কারণে এলাকার মানুষ বঙ্গবন্ধু-অন্তঃপ্রাণ। তারা প্রার্থী দেখেন না। তারা বঙ্গবন্ধুর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আত্মতৃপ্তি লাভ করেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া অন্য সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এলাকার তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নয়নমূলক কাজও হয়নি। এ কারণে এলাকার মানুষ সব সময় নৌকার পক্ষে ভোট দিয়ে প্রার্থীদের বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করে থাকেন।
তিনি বলেন, ‘জেলায় আওয়ামী লীগে কোনো গ্রুপিং নেই। আমরা মানুষের কল্যাণে গোপালগঞ্জের উন্নয়নের রাজনীতি করে যাচ্ছি। এখানে কোনো চাঁদাবাজি নেই, কোনো টেন্ডারবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নেই। এখানে আওয়ামী লীগসহ ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো সুসংগঠিতভাবে দলীয় সব কর্মসূচি পালন করে থাকে।’