শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রাজধানীর ফ্ল্যাটে গৃহকর্মীর মুখে টেপ জড়িয়ে নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বনানীর ২৩ নম্বর সড়কের একটি বাড়ির সাত তলার ফ্ল্যাটে গৃহকর্মী তানিয়া বেগমকে মুখে স্কচটেপ জড়িয়ে পৈশাচিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে গতকাল বিকাল পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি। তানিয়ার স্বজনরা বলছেন, মামলা করার মতো সামর্থ্য তাদের নেই। বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আযম মিয়া জানান, এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি বা কেউ অভিযোগ করতেও আসেননি। মামলা হলে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করব। যদি স্বজনরা মামলা না করে তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে ৯৯৯-এ কল করে এক ব্যক্তি জানান- বনানীর ২৩ নম্বর সড়কের একটি বাড়ির সাত তলার ফ্ল্যাটে একজনকে নির্যাতন করা হচ্ছে। বাইরে থেকে চিৎকার-চেঁচামেচির আওয়াজ আসছে। পরে ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখা গেছে, একজনের হাতে সুপারগ্লু ও মুখ স্কচটেপ দিয়ে বাঁধা রয়েছে। মাথার চুল ও ভ্রু ছেঁটে দেওয়া হয়েছে। সারা শরীরে নির্যাতনের অসংখ্য ক্ষত। মারধরে পুরো মুখমন্ডল ফুলে গেছে। তখন গৃহকর্মী তানিয়াকে উদ্ধার করে পুলিশ। গৃহকর্ত্রী সামিনা আলমকে আটক করে নেওয়া হয় বনানী থানায়। ভুক্তভোগী গৃহকর্মীর পক্ষ থেকে কোনো মামলা করতে রাজি না হওয়ায় গৃহকর্ত্রী সামিনা আলমকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তানিয়ার ভাই শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমার বোনকে যারা নির্যাতন করেছে তারা প্রভাবশালী, মামলা করে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন। এ ছাড়া মামলার খরচ জোগানোর সামর্থ্য নেই আমাদের। এ কারণে মামলা করা হয়নি।’ জানা গেছে, দুই বছর আগেও গৃহকর্ত্রী সামিনার বাসায় কাজ করেছিলেন তানিয়া। পরে কাজ ছেড়ে গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দায় চলে যান। দুই মাস আগে বাড়ি থেকে রাগ করে তার বোন ঢাকায় এসে সামিনার বাসায় আবারও কাজে যোগ দেয়। গৃহকর্ত্রী সামিনার একটি শিশুসন্তান আছে। ওই শিশু কান্না করলেই তানিয়ার ওপর নির্মম নির্যাতন করা হতো।

সর্বশেষ খবর