মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

মারাত্মক নয় তবে অতিসংক্রামক

ডা. মুশতাক হোসেন

মারাত্মক নয় তবে অতিসংক্রামক

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেছেন, দেশে প্রথমবারের মতো শনাক্ত ‘বিএফ-৭’ ওমিক্রনের উপধরনের উপধরন। এটি ওমিক্রনের উপধরন ‘বিএ-৫’-এর উপধরন। এ উপধরনটি ওমিক্রনের অন্যান্য ধরন ও উপধরনের মতো এতটা মারাত্মক নয়। তবে এ উপধরনটি বেশি ছড়ায় বলে এটি এখনো টিকে আছে।

গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যে ধরন বেশি সংক্রমণ করে, সেটাই টিকে থাকে। আগে টিকা নেওয়া থাকলে বা আগে সংক্রমিত থাকলেও এ উপধরন আবার সংক্রমিত করছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ উপধরনের কারণে বেশি হাসপাতালে বা আইসিইউতে যাওয়া, কিংবা বেশি মৃত্যুর কোনো রেকর্ড নেই। দেশে শনাক্ত নতুন উপধরনটি প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। সেখান থেকে প্রথমে মঙ্গোলিয়া ও মঙ্গোলিয়া থেকে চীনে ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া ভারত ও জাপানেও পাওয়া গেছে। সাধারণত শীতপ্রধান দেশে এ উপধরন ছড়িয়েছে। এর আগে করোনার ওমিক্রনের আরেকটা উপধরন ‘এক্সবিডি’ও বাংলাদেশে পাওয়া গেছে। এখন চীনের ধরনটা পাওয়া গেল।

ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, শনাক্ত নতুন উপধরনটি এতটা বিপজ্জনক নয়। আগের ধরনগুলোর চেয়ে বেশি শারীরিক ক্ষতি করতে পারে এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু এটা আগের ধরনগুলোর চেয়ে বেশি ও দ্রুত ছড়ায়। কম ক্ষতিকর হলেও সতর্ক থাকা অবশ্যই জরুরি। কারণ অনেক বেশি লোকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আক্রান্ত হবে। তারা আক্রান্ত হলে বিপদ হবে। রোগটি ছড়াবে সীমান্ত পার হয়ে ওই সব দেশ থেকে যারা আসবে তাদের মাধ্যমে। সে জন্য স্থল ও বিমানবন্দরে নজরদারি ও পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়ায় হাসপাতাল থেকে। যারা হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা টেস্ট করাতে, টিকা নিতে বা চিকিৎসা করাতে যান, তাদের মাধ্যমে নতুনরা আক্রান্ত হন। তাই হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও টিকাদান কেন্দ্র এসব জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর