শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাখির ডাকে মুখর ক্যাম্পাস

রাকিব হোসেন, ইবি

পাখির ডাকে মুখর ক্যাম্পাস

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লেক এখন অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত। এ বছর দেরিতে হলেও লেকটিতে অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে। ফলে এসব পাখির কলকাকলি আর ডানা ঝাপটানোর শব্দ মুগ্ধ করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়নাভিরাম মফিজ লেক ও প্রকৌশল ভবনের পেছনের পুকুরে এসব পাখি বাসা বেঁধেছে। এ পাখির মধ্যে দেশি ডাহুক, মাছরাঙা, পানকৌড়ি, বক, সরালি হাঁস, ল্যাঞ্জা হাঁস, খুনতে হাঁস, বালি হাঁস, মানিকজোড় প্রভৃতি রয়েছে। অতিথি পাখির মধ্যে বেশি রয়েছে সরালি হাঁস। সরেজমিন দেখা গেছে, জলাশয়ের পাড়ে অনেক সরালি ঝাঁক বেধে উড়ছে, আবার পরক্ষণেই ঝাঁপ দিচ্ছে জলে। কিছু পাখি দলবেধে পানিতে আপন মনে সাঁতার কাটছে, আবার কিছু কচুরিপনায় মুখ গুঁজে বিশ্রাম নিচ্ছে- যা শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীরা উপভোগ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘অতিথি পাখি ক্যাম্পাসে যোগ করে নতুন মাত্রা। বিকালে লেক ও পুকুরের দিকে গেলে পাখির খুনসুঁটি ও কিচিরমিচির শব্দে আমরা মুগ্ধ হই। এসব পাখির নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই।’ শিক্ষার্থী চয়মুন নাহার বলেন, ‘গোধূলি বেলা পাখিদের কলরব আমার খুব ভালো লাগে। আমার বন্ধু ও বান্ধবীরা একসঙ্গে পাখির ডানাঝাপটানো উপভোগ করি।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইনজামুল হক বলেন, ‘ক্যাম্পাসে মেগা প্রকল্পের কাজের বিভিন্ন মেশিনের উচ্চ শব্দ এবং লেকের আশেপাশের এলাকায় বৃক্ষ নিধনের কারণে পাখির সংখ্যা কমেছে। ঋতু বৈচিত্র্যে প্রকৃতিতে দেরিতে শীতের আগমন এবং অতিথি পাখি শিকারের কারণে গোটা দেশে অতিথি পাখির সংখ্যা কমেছে। আগে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আসলেও এখন কয়েক প্রকারের দেখা মেলে।

সর্বশেষ খবর