শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

এটা নিঃসন্দেহে একটা ভালো কর্মসূচি

ড. জাহিদ হোসেন

এটা নিঃসন্দেহে একটা ভালো কর্মসূচি

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেছেন, এটা নিঃসন্দেহে একটা ভালো ঋণ কর্মসূচি। এখানে মোট তিনটি প্রোগ্রাম বা প্যাকেজ আছে। এর মধ্যে প্রথমটা বর্ধিত ঋণ সুবিধা (ইসিএফ)। এটা সুদমুক্ত। ইসিএফের আওতায় প্রদেয় ঋণে সাড়ে পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ড পাওয়া যাবে। এর পরবর্তী ১০ বছরে এই ঋণ শোধ করতে হবে। ইএফএফ ঋণ কর্মসূচিতে সাড়ে তিন বছর গ্রেস পিরিয়ড মিলবে। আর পরিশোধ করতে হবে পরবর্তী ১০ বছরে। আরএসএফ ঋণ কর্মসূচিতে পাওয়া যাবে ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ড সুবিধা এবং তা পরিশোধ করা যাবে আগামী ২০ বছরে। এ মুুহূর্তে এ ধরনের লম্বা সময়ে পরিশোধযোগ্য ঋণ পাওয়াটা অবশ্যই ইতিবাচক। তবে এটা ডলার সংকট এড়াতে খুব একটা কার্যকর ভূমিকা রাখবে না। কারণ পরিমাণ খুবই কম। আমাদের এখন যা অবস্থা তাতে সাত মাসে ৯০০ কোটি ডলার ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। আর এখানে ছয় মাস পর পর পাওয়া যাবে ৫০ বা ৬০ কোটি ডলার, যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তবে এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক যে, আইএমএফ এখন সংকট এড়াতে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বড় একটা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এটা অন্যদের কাছেও এক ধরনের ইতিবাচক বার্তা দেবে। তবে ব্যাপারটা হলো, যেসব সংস্কারের কথা তারা বলেছে, সেগুলো তো আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। কিন্তু সরকার তা করেনি। এখন তো বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়েছে। ফলে সংস্কারগুলো করতেই হবে। নইলে তো তারা ঋণের কিস্তি আটকে দেবে। আর সংস্কার কর্মসূচিগুলো কিন্তু আমাদের জন্য বেশ ভালো এবং উপযোগী। বিশেষ করে ব্যাংক খাতের কাঠামোগত সংস্কার, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা, রাজস্ব খাতের সংস্কার ইত্যাদি। তবে এখানে একটা কথা বলা যায়, এই ঋণ অর্থনীতিতে রূপান্তরগত তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। যেমন জিডিপি প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এসবের ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। এখানে আরেকটা বিষয় জানা জরুরি, প্রকাশিত সংস্কার কর্মসূচিগুলোর বাইরে আরও কী ধরনের শর্ত রয়েছে সেগুলো তো এখনো অপ্রকাশিত রয়েছে। সেটার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।

সর্বশেষ খবর