স্ত্রীকে হত্যা করে ওয়ারড্রোবে লুকিয়ে রাখার ১৪ ঘণ্টা পর মনোয়ার হোসেন নামের এক যুবক দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কোতোয়ালি থানায় গিয়ে তিনি স্ত্রীকে খুনের কথা জানান।
এর আগে ভোরের দিকে দিনাজপুর শহরের ঘাসিপাড়া এলাকায় শ্বাসরোধ করে স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারকে (২৭) হত্যা করেন মনোয়ার হোসেন। পারিবারিক কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা জানায়।
আটক মনোয়ার হোসেন (৩৩) দিনাজপুর শহরের ছোট গুড়গোলা এলাকার মৃত শেখ আবদুল আজিজের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি শহরের ঘাসিপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকবেন। তিনি শহরের জেল রোড এলাকায় বৈদ্যুতিক সামগ্রীর দোকান চালান। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই সুমাইয়া আক্তারের ভাই ইসাহাক আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় পুলিশ মনোয়ারকে গ্রেফতার করেছে। নিহত সুমাইয়া আক্তার হাসি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার আবদুল খালেকের মেয়ে। দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম জানান, এক মাস আগে মনোয়ারের সঙ্গে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের কলেজপাড়ার আবদুল খালেকের মেয়ে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। মনোয়ারের বাড়ি দিনাজপুর শহরের ছোট গুড়গোলায়। তিনি ঘাসিপাড়ায় ওই বাড়ির চতুর্থ তলায় এক বছর ধরে ভাড়া থাকেন। সুমাইয়া মনোয়ারের দ্বিতীয় স্ত্রী। ওসি আরও জানান, শুক্রবার ভোরের দিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর স্ত্রীর মরদেহ ওয়ারড্রোবে লুকিয়ে রাখেন মনোয়ার। এর প্রায় ১৪ ঘণ্টা স্ত্রীর লাশ লুকিয়ে রাখার পর তিনি নিজে থানায় হাজির হয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
