বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার কবে হবে ছয় লেন

কোনো সমীক্ষাই আলোর মুখ দেখছে না

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার কবে হবে ছয় লেন

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কটি দেশের অন্যতম দীর্ঘতম মহাসড়ক। এ সড়ক দিয়েই যাতায়াত করেন পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের পর্যটকরা। সঙ্গে আছে পার্বত্য এলাকা বান্দরবান এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের যাতায়াত। দৈনিক অসংখ্য ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে। ব্যস্ততম সড়কটি দুই লেনের হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। এই মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত হলে ভারত, মিয়ানমার ও চীনের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা সমৃদ্ধ হবে। সহজ হবে দেশের সঙ্গে পর্যটন শহর কক্সবাজারের যোগাযোগ। ১৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে মহাসড়কটি সম্প্রসারণে ইতোমধ্যেই চারবার সমীক্ষা পরিচালনা করে দেশি-বিদেশি চার প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কোনো সমীক্ষাই আলোর মুখ দেখছে না।

সড়ক ও জনপদ (সওজ) দোহাজারী বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করতে ৫ হাজার ৮২৮ কোটি ৪১ লাখ টাকার একটি ডিপিপি তৈরি করে জাইকার (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে জাইকা এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। একই প্রকল্প মন্ত্রণালয়েও জমা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার বিষয়টি মাথায় রেখে কর্ণফুলী উপজেলার ক্রসিং থেকে চকরিয়া পর্যন্ত চার ধাপে ভাগ করে ‘স্ট্যান্ডার্ড টু লেন সড়ক’ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই দুই ধাপের কাজ প্রায় শেষ। সওজ দোহাজারি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীতকরণে একটি প্রকল্প জাইকার কাছে জমা দেওয়া হলেও তারা বিষয়টি নিয়ে এখনো কিছু জানায়নি। জাইকা এটিতে সম্মতি দিলে প্রকল্পটি সংযোজন-বিয়োজন করে বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। না দিলে সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হতে পারে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটির প্রস্থ কর্ণফুলী ক্রসিং থেকে কেরানিহাট পর্যন্ত ১৮ ফুট থেকে ৩৪ ফুটে উন্নীত করা হচ্ছে। পুরো কাজটি হবে চার ধাপে। প্রথম ধাপে ক্রসিং থেকে মনসা বাদামতল পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে। এটি এপ্রিলের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। দ্বিতীয় ধাপে বাদামতল থেকে কমল মুন্সির হাট পর্যন্ত অংশের কাজও চলমান। এটি জুনে শেষ হওয়ার কথা। তৃতীয় ধাপে বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাতকানিয়া মৌলভির দোকান পর্যন্ত প্রকল্পের কাজের দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে। চতুর্থ ধাপে মৌলভির দোকান থেকে চকরিয়া অংশের দরপত্র জুনে আহ্বান করার কথা। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে ক্রসিং থেকে কেরানিহাট পর্যন্ত সড়ক সম্প্রসারণ কাজ শেষ করার লক্ষ্যে কাজ করছে সওজ। মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীতকরণের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে চারটি স্থানে ছয় লেনের সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে চন্দনাইশের বরুমতি খালের ওপর সেতু নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। পটিয়ার ইন্দ্রপুল, দোহাজারীর শঙ্খ নদী ও চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীর ওপর তিনটি ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে। নির্মাণ করা হবে ছয় লেনের বাইপাস।

সর্বশেষ খবর