সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা
সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ

ভবন স্থিতিশীল করতে চলছে প্রোপিং

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত কুইন ভবন স্থিতিশীল করতে গতকালও প্রোপিংয়ের কাজ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হয় প্রোপিং। এ কাজ চতুর্থ দিনের মতো গড়িয়েছে। এখনো গুলিস্তান থেকে বংশাল মোড় পর্যন্ত একপাশের রাস্তা বন্ধ রয়েছে। এ কারণে সদরঘাট থেকে গুলিস্তানগামী পরিবহনগুলোকে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে।

গতকাল সকালে সরেজমিন দেখা যায়, বিস্ফোরণে ভবনটির বেজমেন্ট ও নিচতলার ২৪ কলামের মধ্যে ৯টি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ভবনটি। এ জন্য প্রোপিংয়ের কাজ শুরু করা হয়। প্রোপিংয়ের কাজ যেন নির্বিঘ্ন হয় সে জন্য ভবনটির সামনের রাস্তা দুই দিক দিয়ে বন্ধ রাখে পুলিশ। ভবনের ক্ষতিগ্রস্ত কলামে স্টিলের পাইপ দিয়ে অস্থায়ী সাপোর্ট (দাঁড় করিয়ে রাখার ব্যবস্থা) দেওয়া হয়েছে। ভবনটির সামনের অংশের ক্ষতিগ্রস্ত কলামগুলোর পাশে ওই পাইপগুলো স্থাপন করা হয়েছে। এরই মধ্যে ১৭টি পাইপ স্থাপন করা হয়েছে। তবে ভবনের ভিতরের অংশে এখনো কোনো পাইপ স্থাপন করা হয়নি। পাইপগুলো স্থাপনের জন্য  কাজ করছে রাজউক। পাইপ বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হলে রাজউক ও বুয়েটের প্রকৌশলীরা ভবনটি পরিদর্শন করবেন। তখন তারা পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এরপর জানা যাবে ভবনটি সংস্কার করা হবে, নাকি ভেঙে ফেলা হবে।

এদিকে গতকাল দুপুরে ভবন বিস্ফোরণ ঘটনার তদন্ত করতে আসে তিতাস গ্যাসের ১৮ সদস্যের একটি দল। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার শামসুদ্দিন আল আযহার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিতাস গ্যাসের কারণে যদি এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকত তাহলে ভবনে আগুন লেগে যেত, যা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ত। সুতরাং তিতাস গ্যাসের লাইন থেকে বিস্ফোরণের বিষয়টি অমূলক।

৭ মার্চ বিকাল পৌনে ৫টায় সিদ্দিকবাজারে কুইন ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের সাততলা ও পাঁচতলা দুটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর