সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

রসালো মচমচে মাষকলাইয়ের জিলাপি

শেরপুর প্রতিনিধি

রসালো মচমচে মাষকলাইয়ের জিলাপি

কেউ বলে মাষকলাইয়ের জিলাপি, কেউ আমৃত। রোজা শুরু হলেই  শেরপুর শহরের ঘোষপট্টির (গোয়ালপট্টি) মিষ্টির দোকানগুলোতে মাষকলাইয়ের জিলাপির কদর বাড়ে। রোজাদাররা বলেছেন এই মচমচে রসালো জিলাপি ইফতারে প্রশান্তি দেয়। ঘোষপট্টিতে এই জিলাপি বানানোর সময় বিকালে জিলাপির ম-ম গন্ধ রোজাদারদের প্রলুব্ধ করে ও ভিন্ন এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বেলা যতই পড়তে থাকে দোকানগুলোতে মাষকলাইয়ের জিলাপির ক্রেতার ভিড় ততই বাড়ে। গরম গরম এই  জিলাপি খুব মজাদার, ঠান্ডা হলে স্বাদ তেমন থাকে না। তাই বিকালের দিকে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে গরম জিলাপি পেতে। জানা গেছে, মাষকলাই ধুয়ে, কালো খোসা ছাড়িয়ে রোদে শুকিয়ে  আবার ভিজিয়ে পাটায় বেটে গুঁড়া করা হয়। এই গুঁড়ার সঙ্গে পরিমাণমতো চালের আটা মিশিয়ে নিতে হয়। গুঁড়ার মিশ্রণকে পাতলা কাই করে উচ্চমাত্রার গরম তেলে ভাজা হয়। জিলাপির প্যাঁচে গোলাপ ফুলের মতো রূপের এই জিলাপি তেলের মধ্যে এক সময় সোনালি বর্ণ ধারণ করে। এই সোনালি বর্ণের জিলাপি চিনির শিরার মধ্যে কিছুক্ষণ রেখে দিলেই হয়ে যায় সুস্বাদু জিলাপি। কেউ কেউ এই পদ্ধতিতে এখনো এই জিলাপি বানায় আবার কেউ কেউ রেডিমেড পাওয়া কলাইয়ের গুঁড়া ব্যবহার করে। ক্রেতারা বলেছে হাতে বানানো গুঁড়ার জিলাপিই মজা। গত বছরও ১৬০/১৭০ টাকায় প্রতিকেজি জিলাপি বিক্রি হলেও এখন ২০০ টাকা। ঘোষপট্টির ব্যবসায়ীদের দাবি সব জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই জিলাপির দামও বেড়েছে। রোজাদারদের পছন্দের তালিয়ায় এই মাষকলাইয়ের জিলাপি থাকে। সারা বছর এই জিলাপির সামান্য চাহিদা থাকলেও রোজায় চাহিদা থাকে তুঙ্গে। রোজায় প্রতিদিন মণ দশেক মাষকলাইয়ের জিলাপি এই ঘোষপট্টি থেকে বিক্রি হয়। ঘোষপট্টির শীর্ষ মিষ্টি ব্যবসায়ী নন্দ গোপাল মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকার ভোলানাথ ঘোষ ও প্যারি মোহন মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক পাপেল ঘোষ বলেছেন, রোজাদারদের বিবেচনায় এই মাসে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ অতি সাবধানতার সঙ্গে এই জিলাপি বানানো হয়।

সর্বশেষ খবর