খেলা নেই। তবু দিনে-রাতে জমজমাট রাজধানীর ইস্কাটন সবুজ সংঘ। বিশেষ করে রাত ১০টার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত চলে জুয়া। প্রতিটি জুয়ার টেবিল থেকে রাখা কমিশনের প্রায় পুরোটাই চলে যায় সালাম ব্রাদার্সের পকেটে। কেবল জুয়ার কমিশনই নয়, ইস্কাটন এলাকার চাঁদাবাজি, সাপ্লাই, মাদক, হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স-বাণিজ্যের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক তারা। অপরাধ-সাম্রাজ্য নির্বিঘ্ন রাখতে সালাম ব্রাদার্স তাদের আয়ের বড় একটি অংশ পৌঁছে দেয় পৃষ্ঠপোষকদের কাছে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে।’ সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ইস্কাটন রোডের একপাশ দখল করে বসেছে অর্ধশতাধিক মাছের দোকান, ১৭৫টি কাঁচা সবজির দোকান, ১৫টি মুরগির দোকান ও কয়েকটি মাংসের দোকান। প্রতিটি মাছের দোকান থেকে দৈনিক চাঁদা আদায় করা হয় ৪০০ টাকা করে। তরকারির দোকান থেকে ১৫০ এবং মুরগি ও মাংসের দোকান থেকে দৈনিক ৫০০ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। এ ছাড়া মুরগি ও মাংস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের অগ্রিম নেওয়া হয়েছে। মগবাজার মোড় থেকে বাংলামোটর পর্যন্ত রাস্তার ফুটপাতে বাজার বসিয়ে প্রতিদিন অর্ধলক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। স্থানীয় সূত্র বলছে, পুলিশের কিছু অসাধু সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম ও তার ভাই হালিমের একচ্ছত্র বাণিজ্য। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন দিবসকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসার পৃষ্ঠপোষকতা, গাড়ির শোরুমে চাঁদাবাজি, মোটরসাইকেল গ্যারেজের নিয়ন্ত্রণ, হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসার চাঁদাবাজিসহ আরও অসংখ্য অভিযোগ। এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, সালামের নির্দেশে এলাকাজুড়ে মাদক ও চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দেন হালিম, রাজ্জাক, মহসিন, শাহ আলম, ইসহাক। সালামের হয়ে কাজ করেন গাজী বিল্লাল নামের স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাও। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুস সালাম বলেন, ‘আমাকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। আমি সবুজ সংঘে যাই না। সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।’ আওয়ামী লীগের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার বলেন, ‘সালামের ভাইদের অপকর্মের বিষয় তো এলাকায় ওপেন সিক্রেট। রাজনীতিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করলেও তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে হাইকমান্ড অবহিত। তার পরিবারের অনেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।’ ভুক্তভোগীরা জানান, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে বাইরের কোনো অ্যাম্বুলেন্স রোগী বহন করতে পারে না। রোগী ও লাশের গন্তব্য অনুপাতে অ্যাম্বুলেন্সপ্রতি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা দিতে হয় এই চক্রকে।
শিরোনাম
- তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুড়িচংয়ে দোয়া মাহফিল
- ধর্মের দোহাই দিয়ে টিকেট বিক্রি করে কাজ হবে না: তানিয়া রব
- জবিতেও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে রবিবার
- সোনারগাঁয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মান্নানের সম্প্রীতি সমাবেশ
- ভূমিকম্প: ঢাবিতে রবিবারের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
- নোয়াখালীতে প্রয়াত ১০৯ বিএনপি নেতাকর্মীর পরিবারকে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা
- তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের বিকল্প নেই: দুলু
- ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
- বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে নারীরা সুরক্ষিত থাকে: শামা ওবায়েদ
- নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
- 'তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে প্রতিটি পরিবারের হাতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে'
- মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
- বাগেরহাটে কবি হিমেল বরকতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- ঢাকায় ভূমিকম্পে নিহত বগুড়ার রাফিউলের দাফন সম্পন্ন
- ‘নির্বাচনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে’
- বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা
- বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৩১ গরু আটক
- শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
চাঁদাবাজিতে বেপরোয়া সালাম ব্রাদার্স
খেলা নেই সবুজ সংঘে, চলে রাতভর জুয়া-মাদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর