বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

শোভাযাত্রার শেষ সময়ের প্রস্তুতি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

বিশ্ব ঐতিহ্যে পরিণত হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়। বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও চারুকলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এবার মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ‘বরিষ ধারা মাঝে শান্তির বাণী’। গতকাল চারুকলা প্রাঙ্গণ সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাঁশ ও কাঠের সাহায্যে শোভাযাত্রার প্রধান প্রধান মোটিফ তৈরিতে কাজ করছেন শিল্পীরা। এ বছরের জন্য হাতি, মা ও শিশু, ভেড়া, বাঘ, ময়ূর, নীলগাইয়ের প্রতিকৃতি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সবগুলোর প্রাথমিক অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। এরপর চলছে এগুলোর ওপর রঙিন কাগজের প্রলেপ ও নকশা করার কাজ। অনুষদ সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর চারুকলার অনুষদের শিক্ষার্থীদের একটি ব্যাচ শোভাযাত্রার প্রস্তুতির দায়িত্বে থাকে। এ বছরস্নাতক ২৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দায়িত্বে আছেন। চারুকলার আয়োজক ব্যাচের শিক্ষার্থী সংগ্রামী মোহন উচ্ছ্বাস জানান, প্রতি বছর শোভাযাত্রায় বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলে ধরার প্রত্যয় থাকে। এ বছরও সে রকমই চেষ্টা আছে। প্রত্যেকটি মোটিফের মধ্য দিয়ে এক ধরনের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা আছে। উচ্ছ্বাস বলেন, নীলগাইয়ের মোটিফটি এবারের নতুন সংযোজন। কারণ এ প্রাণীটি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আমরা এ মোটিফটির মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি করতে চাই। তেমনিভাবে মা ও শিশুর মোটিফের মাধ্যমে পৃথিবীকে বাঁচানোর তাগাদা দিতে চাই আমরা। এ ছাড়া চারুকলার শিক্ষার্থীরা জলরং-অ্যাক্রেলিক চিত্র, সরাচিত্র ও মুখোশের পাশাপাশি নানা হস্তশিল্প তৈরি করছেন। ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর ‘অস্পর্শনীয় শিল্পের’ তালিকাভুক্ত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে এ আয়োজনে সম্পৃক্ততা থাকলেও চারুকলার শিক্ষার্থীরা চান নিজেদের মতো শিল্পকর্ম তৈরি করে সেসব বিক্রির মাধ্যমে আয়োজন করতে।

সর্বশেষ খবর