শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
সিলেট সিটি নির্বাচন

সম্পদে এগিয়ে বাবুল শিক্ষায় আনোয়ার ও মাহমুদুল

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বাছাই শেষে ছয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। বাতিল হয়েছে পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র। বৈধ হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদ জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুলের। শিক্ষায় এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মাহমুদুল হাসান। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, তার হাতে নগদ রয়েছে ৫২ লাখ ৮৯ হাজার ১১০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাঁর নামে জমা রয়েছে ৫৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৯ টাকা। কোম্পানি শেয়ার আছে ১৫ লাখ টাকার। পেশায় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বাবুল আমদানিকারক এবং ফিজা অ্যান্ড কোম্পানি প্রা. লিমিটেড ও মেসার্স ফিজা এক্সিমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি দৈনিক একাত্তরের কথা নামে একটি আঞ্চলিক পত্রিকার প্রকাশকও। বাবুল উল্লেখ করেছেন, তাঁর বার্ষিক আয় ৬৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৯ টাকা। এর মধ্যে ‘বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া’ থেকে তিনি আয় করেন ২১ লাখ ৩৭ হাজার ৭০ টাকা। কোম্পানি থেকে পরিচালক ভাতা বাবদ বছরে ৪০ লাখ টাকা, ব্যাংক ইন্টারেস্ট থেকে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮৪৯ টাকা এবং অংশীদারি ফার্ম থেকে ১ লাখ ৪২ হাজার ৬৫০ টাকা পান তিনি। বাবুলের নামে ১৪টি গাড়ি ও ১টি মোটরসাইকেল আছে। তার নামে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার স্বর্ণালঙ্কার, ২ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র আছে। স্ত্রীর কাছে নগদ ১১ লাখ ১২ হাজার টাকা ও ৩ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার এবং ২ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র আছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে নজরুল ইসলাম বাবুলের নামে ১৩০ দশমিক ২৮ শতক অকৃষি জমি রয়েছে। সিলেট নগরীর তেলিহাওর এলাকায় সিলভ্যালি টাওয়ারে ২৩৪০ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট আছে বাবুলের। বাগবাড়িতে ২০০ স্কয়ার ফিটের ভবন, আখালিয়ায় ১১০০ স্কয়ার ফিটের টিনশেড বাড়ি, আখালিয়ায় ৭.৫ শতক জমির ওপর ১২০০ স্কয়ার ফিটের আধাপাকা টিনশেড বাড়ি এবং বড়শালায় ৫৪ শতক জমির ওপর ১৮০০ স্কয়ার ফিটের একটি বিল্ডিং রয়েছে তাঁর। নজরুল ইসলাম বাবুলের নামে বড় অঙ্কের দেনাও আছে। আইডিএলসি, সিলেট শাখায় তাঁর দায় ১ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার ৫২৩ টাকা। এ ছাড়া ফিজা অ্যান্ড কোং (প্রা.) লি. থেকে তিনি ৪ কোটি ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৪৭৪ টাকা ঋণ নিয়েছেন। হলফনামায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী উল্লেখ করেছেন, তার কাছে নগদ ৪১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৪৮ টাকা রয়েছে। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে- ২টি টিভি, ১টি ফ্রিজ, ২টি এসি, ৪৭ ভরি স্বর্ণ, ২ সেট সোফা, ৪টি খাট, ১টি টেবিল, ১০টি চেয়ার, ২টি আলমারি, ৩ বিঘা কৃষিজমি, ২৩ শতক অকৃষি জমি, ১টি দালান ও ১টি অ্যাপার্টমেন্ট। হলফনামায় মাহমুদুল হাসান উল্লেখ করেছেন, তার কাছে নগদ ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা এবং ব্যাংকে রয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এশটি মোটরসাইকেল ও আসবাবপত্রের বিবরণ দিয়েছেন তিনি হলফনামায়।

এদিকে, শিক্ষায় এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মাহমুদুল হাসান। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বি এ (সম্মান) এবং মাওলানা মাহমুদুল হাসান এলএলবি পাস। জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল নিজেকে স্বশিক্ষিত উল্লেখ করেছেন।

সর্বশেষ খবর