পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরে ফেরা মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও নির্ধারিত সময়ে যাওয়া নিশ্চিত করতে ২৪ ঘণ্টা সড়কে থাকবেন ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসিসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। গতকাল রাজধানীর গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট সরেজমিন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব বলেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে পুলিশ সদর দফতর ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
আইজিপি বলেন, গত ঈদুল ফিতরে সবার সার্বিক সহযোগিতায় ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে পেরেছি। এবারের ঈদযাত্রাও নির্বিঘ্ন করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, র্যাব, আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ন, নৌ পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশসহ সব ইউনিট একযোগে কাজ করছে। আমাদের সঙ্গে মালিক-শ্রমিক, হাটের ইজারাদার ও যাত্রীদের কথা হয়েছে। কেউ হয়রানির শিকার হচ্ছেন কি না তা জানার চেষ্টা করেছি। এখন পর্যন্ত সবাই স্বস্তিদায়ক বলেছেন। এর আগে আমরা গাজীপুর, সাভার, বাইপাইল এলাকা পরিদর্শন করেছি। সড়কের অবস্থা মানুষের কথা শুনেছি। ঈদযাত্রা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। সাধারণ মানুষ নিরাপদে নির্বিঘ্নে যার যার গন্তব্যে যাচ্ছেন। যোগাযোগব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, পদ্মা সেতু হয়েছে। আগের মতো অবস্থা আর নেই যে মানুষ বাসের ছাদে চড়ে গন্তব্যে যাবে। যাত্রীদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, যে কোনো সমস্যায় প্রয়োজনে নিকটস্থ পুলিশে খবর দিন অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে আপনার অভিযোগ জানান। পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার অভিযোগের নিষ্পত্তি করবে। তিনি বলেন, ফিটনেসবিহীন ও লাইসেন্সবিহীন যানবাহন না চালানোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী হিসেবে বাসে, ট্রেনে বা নৌপরিবহনে যাতায়াত না করতে অনুরোধ জানান আইজিপি।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, যারা জাল টাকার কারবার করেন তারা হুঁশিয়ার হয়ে যান। গত দুই মাসে ৩ কোটি ৬১ লাখ জাল টাকা জব্দ করা হয়েছে। কারবারিদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেড় কোটি জাল টাকা জব্দ ও কারবারিদের গ্রেফতার করেছি। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টিসহ যারা প্রতারণা কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। ঈদের ছুটিতে যারা ঢাকাসহ শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাবেন তাদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, আমরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঈদ উপলক্ষে জনসমাগম বাড়বে সে কারণে নিরাপত্তা নিশ্চিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কর্মকর্তারা দিন-রাত দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। এরপর বিকালে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন আইজিপি।