নীলফামারী, রংপুর ও লালমনিরহাটে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে তিস্তার পানি। ফলে এ অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি (৪৪) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। গতকাল বিকাল ৩টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, গয়াবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ১৫টি চর গ্রামের প্রায় ৩ সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হওয়ার কথা জানান সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা। ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান বলেন, গতকাল সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তিস্তাপাড়ের মানুষজন আবারও বন্যার শঙ্কায় আছে। টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম বলেন, পানি বৃদ্ধির ফলে ইউনিয়নের ৭ শতাধিক পরিবারের বাড়িতে পানি উঠেছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
লালমনিরহাট : উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীতে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদীতীরবর্তী মানুষ জানান, গত কয়েকদিন ভারী বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ বেড়ে যায়। তিস্তা নদীর বাম তীরে লালমনিরহাট জেলার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। ফসলের খেতে পানি উঠেছে।
রংপুর : তিস্তা নদীর পানি আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। চলতি মৌসুমে তৃতীয়বারের মতো বিপৎসীমা অতিক্রম করল। নদীতীরবর্তী এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার ডালিয়া এবং কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেলেও গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুশিয়ারা ও সোমেশ্বরী ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে।