খুলনার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লুৎফুল কবির নওরোজ হত্যা মামলায় তার চতুর্থ স্ত্রী সুলতানা পারভীন চুমকিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই। গতকাল খুলনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক সুনন্দ বাগচী শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার বাদী আইনজীবীর দ্বিতীয় স্ত্রী জেসমিন আক্তার। গত ১৬ জুলাই বটিয়াঘাটা কাজিবাছা নদী সংযুক্ত হ্যাচারির সংযোগ খাল থেকে নওরোজের লাশ উদ্ধার হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পিবিআই উপপরিদর্শক পলাশ অধিকারী ও দুদকের আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা যায়, হত্যাকান্ডের পর জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী সুলতানা পারভীন চুমকির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আদালত প্রাঙ্গণের পাশে আইনজীবী সমিতি ভবনে একজন আইনজীবীর কক্ষে ড্রয়ার থেকে নওরোজের লেখা ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না’ লেখা চিরকুট উদ্ধার হয়। কিন্তু মৃত্যুকালীন ঘোষণাটি তিনি নিজ ইচ্ছায় লিখেছেন নাকি জোর করে লেখানো হয়েছে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ছাড়া তার পকেট থেকে উদ্ধার হওয়া ফোনটিও তার নয় বলে জানা গেছে। লাশ উদ্ধারের মাত্র ১৪ দিন আগে চুমকির সঙ্গে নওরোজের বিয়ে হয় এবং উদ্ধার হওয়া মোবাইল দিয়ে সর্বশেষ প্রায় ৪২ মিনিট ধরে চুমকির সঙ্গে নওরোজের কথা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পিবিআইর উপপরিদর্শক পলাশ অধিকারী জানান, মামলাটি নৌ-পুলিশ প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে। তারাই চিরকুট উদ্ধার করে। মামলাটি বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ সেপ্টেম্বর পিবিআইকে তদন্তভার দেয় আদালত। নওরোজের চারটি বিয়ের কথা জানা গেছে। মামলার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।