রবিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

রংপুরে সরিষা চাষে বিপ্লব

নজরুল মৃধা, রংপুর

রংপুরে সরিষা চাষে বিপ্লব

রংপুর অঞ্চলে সরিষা চাষে নীরব বিপ্লব হয়েছে। চার বছরের ব্যবধানে আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। বর্তমানে হলুদ ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে কৃষকের খেত। কৃষকরা এখন সরিষা ঘরে তোলার স্বপ্ন বুনছেন। কৃষিবিভাগের তথ্য অনুযায়ী রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় এ বছর ৮৩ হাজার ১৬১ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। গত বছর ৫২ হাজার ৫৫২ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল। অন্যদিকে চার বছর আগে ২০২০ সালে এ অঞ্চলে সরিষার আবাদ হয়েছিল মাত্র ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে। চার বছরের ব্যবধানে আবাদ বেড়েছে ৪৫ হাজার হেক্টরের বেশি। এ বছর প্রায় সোয়া লাখ টন সরিষার উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষিবিভাগ।

কাউনিয়া উপজেলার চাষি আবুল কাসেম, বুলবুল মিয়া, মাস্টার আলমগীর এবার তাদের জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। বর্তমানে তাদের সরিষা খেতের বয়স ৪০-৬০ দিনের বেশি। আর কয়েকদিন পরেই এ ফসল ঘরে উঠবে। গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় এবারও তারা সরিষা আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলনের আশা করছেন তারা।

কৃষকরা জানান, সরিষা আবাদে অন্যান্য ফসলের চেয়ে উৎপাদন ব্যয় অনেক কম এবং লাভ বেশি। মাত্র চারটি চাষ দিয়ে এ ফসল ঘরে তোলা যায়। এ ছাড়া দুবার পানি ও একবার সার দিয়েই সরিষার আবাদ করা যায়। ৮০-৯০ দিনের মধ্যে সরিষা ঘরে তোলা যায়। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন পাওয়া যায় দেড় টনের মতো। নভেম্বরের প্রথম থেকেই এ ফসল বপন করা হয় এবং ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে সরিষা ঘরে তোলা যায়। প্রতি বিঘায় ফলন পাওয়া যায় ৫-৬ মণ। বিঘায় খরচ পড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে সরিষা, তিল ও সূর্যমুখী থেকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয় মাত্র ৩ লাখ টন, যা চাহিদার শতকরা ১২ ভাগ। বাকি ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। সরিষা বাংলাদেশের প্রধান ভোজ্যতেল। বিশেষজ্ঞরা সরিষার চাষ বৃদ্ধি করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর