কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ এবং আটকদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাবেশে’ এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশের শুরুতে আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিও জানানো হয়। সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাঈদ ফেরদৌস বলেন, শিক্ষার্থীদের আপনারা প্রতিপক্ষ ভাবছেন। সেই শিক্ষার্থীরা দেশের খোলনলচে পাল্টে দিতে এসেছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মৃত্যুতে যেসব ব্যক্তির দায় আছে, সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। স্বাধীনতার পর থেকে গত পাঁচ দশকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রে যে লাগাতার নৈরাজ্য চলেছে, হলগুলোতে যে সুপরিকল্পিত নিপীড়ন চলেছে; ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের সব কিছুকে পাল্টে নতুন ইতিহাস লেখার পথ তৈরি করেছে এ শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হাসিব চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মাসুদ ইমরান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক সায়মন রেজা, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ নাহিদ নেওয়াজ প্রমুখ বক্তব্য দেন।