বাংলাদেশের পতিত স্বৈরশাসকের জন্য ভারত মায়াকান্না করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তারা ধূম্রজাল সৃষ্টি করে গণধিকৃত আওয়ামী লীগকে আবার ফিরিয়ে আনতে চায়। গতকাল দুপুরে যাত্রাবাড়ীর ভাঙ্গাপ্রেস এলাকায় নবী টাওয়ারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের মাঝে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, আজকে পতিত স্বৈরশাসকের জন্য ভারত মায়াকান্না করছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। এই যাত্রাবাড়ীতেই তো শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এখানেই তো অনেক মন্দির আছে, সেখানে কোনো হামলা হয়েছে? কোনো হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে? এসব ধূম্রজাল সৃষ্টি করে তারা গণধিকৃত আওয়ামী লীগকে আবার ফিরিয়ে আনতে চায়। তিনি বলেন, ‘এ দেশে বাস করতে হলে পার্শ্ববর্তী দেশের অনুমতি নিয়ে বসবাস করতে হবে! তারা যাকে ক্ষমতায় আনতে চায় তাকেই মানতে হবে! তারা যেভাবে এ দেশ চালাবে সেভাবেই চলতে হবে? তাহলে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ কেন হয়েছিল? পাকিস্তান ও তাদের মধ্যে তো কোনো পার্থক্য দেখছি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই যাত্রাবাড়ীতে অসংখ্য মা তাঁর সন্তান হারিয়েছে, স্ত্রী বিধবা হয়েছে, সন্তান এতিম হয়েছে। যাত্রাবাড়ীর এই বিপ্লব আমাদের আত্মবিহ্বল করেছে। ৪ আগস্টেও আমি পুলিশের রিমান্ডে ছিলাম। তখনো শুনেছি গণতন্ত্রের দাবিতে যাত্রাবাড়ী জ্বলছে। এখানে মাছুম বাচ্চারাও ঘরে বসে থাকেনি। তারা তো রাজনীতি বুঝে না। শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার অপরাধে এই বাচ্চাদেরও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই আত্মত্যাগ পৃথিবীতে বিরল। এই যাত্রাবাড়ীতে ঘরে ঘরে জাতীয়তাবাদী শক্তি। এই শক্তি সব অত্যাচার-অবিচার ভেদ করে বের হতে সক্ষম।’ বিএনপির এই নেতা বলেন, পুলিশ প্রশাসনে এখনো পতিত আওয়ামী স্বৈরশাসকের দোসর বিদ্যমান। তাই হত্যা মামলা নিয়ে গড়িমসি করছে। হত্যাকারীদের আটকের জন্য পুলিশ কঠিন হচ্ছে না। তাই অবিলম্বে পুলিশের নামে আওয়ামী ছাত্রলীগের ক্যাডার যারা আছে, তাদের অবিলম্বে চাকরিচ্যুত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
‘রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণে চেষ্টা করছে’ বলে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সমালোচনা করে রুহুল কবির বলেন, ‘আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) কথাবার্তা এবং আচরণ কেন হাসিনার মতো হবে! সরকারের সমালোচনা করা মানে তাকে ব্যর্থ করা নয়। এটিই গণতন্ত্রের রীতি।’