মিয়ানমারে পাচারকালে সিমেন্ট বোঝাই বোট ডুবে সাগরে ভাসমান অবস্থায় রোহিঙ্গা নাগরিকসহ ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের মধ্যে তিনজন হলেন সদর উপজেলার খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের আবদুল মোতালেব (৪২), কামাল (৫৪), রুহুল আমিন (৫৫)। অন্য তিনজন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তারা হলেন বালুখালী ক্যাম্পের জোহার (৩৭), কুতুপালং মোচারা ক্যাম্পের ওসমান গনি (৪১), ক্যাম্প-১৯, ব্লক সি-৫-এর নুরুল আমিন (৪০)। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার সদর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মুবিনের মালিকানাধীন ট্রলারে আলী আকবর ঘাট এলাকা থেকে মানিকের নির্দেশে ৩৫০ বস্তা সিমেন্ট বোঝাই করে মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা দেন। মানিকের বাড়ি আগে কুতুবদিয়া তবালেরচর এলাকায় হলেও বর্তমানে কক্সবাজার বসবাস করে চোরাকারবারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন বলে তারা জানান। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া মানিকের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি মানিক নন বলে জানান। তার নাম জাহিদুল ইসলাম দাবি করে বলেন, ডুবে যাওয়া বোটটি তার দুই বন্ধুর। একজনের নাম মুবিন। অন্যজনের নাম ফারুক। মূলত ফারুক বোটের মূল মালিক। এদিকে উদ্ধারকারী বোটের মাঝি দিদার জানান, বুধবার ভোর ৬টার দিকে সাগরে মাছ ধরে ফেরার পথে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় রোহিঙ্গাসহ ছয়জনকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া সিএমবি ঘাটে নিয়ে আসেন।
পরে বোটে মালিক কাইমুল ইসলাম কুতুবদিয়া থানায় খবর দিলে থানার মোবাইল ডিউটি অফিসার এসআই (নি.) সাজ্জাদ চৌধুরী বড়ঘোপ ঘাটের উত্তর দিকে খাদ্য গুদামের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া ছয়জনকে থানায় নিয়ে যান। এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া থানার (ওসি) আরমান হোসেন জানান, বুধবার দুপুরে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের থানায় নেওয়া হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে উপরোক্ত নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, তারা কক্সবাজার সদরের ৬ নম্বর ঘাট থেকে গত মঙ্গলবার বোট নিয়ে মহেশখালী যান। সেখান থেকে সিমেন্ট বোঝাই করে অজ্ঞাত স্থানে যাওয়ার পথে গত মঙ্গবার রাত ১০টার দিকে বোটটি সাগরে ডুবে যায়। তারা সাগরের পানিতে ভাসতে থাকলে কুতুবদিয়ার কাইমুলের মালিকানাধীন বোটের মাঝি-মাল্লাদের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে কুতুবদিয়া নিয়ে আসেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের হস্তান্তর করা হবে।