ময়মনসিংহের ভালুকায় একই দিনে ওড়না দিয়ে সদ্য বিবাহিত প্রেমিক যুগলসহ তিনজন ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া ও কাশর এলাকা থেকে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ লাশ তিনটি উদ্ধার করে।
নিহতরা হলেন দিনাজপুরের ঘাগড়াগাছি গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে মফিজুর রহমান সাগর (২৫) ও তার স্ত্রী নেত্রকোনার মদন থানার ইমদাদপুর এলাকার দুখু মিয়ার মেয়ে রেহেনা আক্তার নূপুর (১৯)। নিহত আরেকজনের নাম সোনালি আক্তার (১৭)। তিনি কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া এলাকার আবুল হোসেনের মেয়ে। স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের ছোট কাশর এলাকার জয়নালের ভাড়া বাসায় বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সোনালি আক্তার (১৭) নামে এডভান্স মিলের এক শ্রমিক গলায় ওড়না দিয়ে ঘরের ধর্নার সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। পরে খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। লাশটি উদ্ধারের পরপরই একই ইউনিয়নের পাশের হবিরবাড়ী ডুবালিয়া পাড়ার হেকমত ম লের ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী নিহতের খবর পেয়ে বাসার দুই তলা রুমে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে একই ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় স্থানীয় ক্রাউন ওয়্যার্স লিমিটেডের সুইং অপারেটর রেহেনা আক্তার নূপুর ও তার স্বামী একই ফ্যাক্টরির কাটিং হেলপার মফিজুর রহমান সাগরের লাশ উদ্ধার করে থানা মর্গে নিয়ে যায়। ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির লাশগুলো উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত সবাই ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় কারখানায় চাকরি করতেন। হুমায়ুন কবির বলেন, বুধবার সন্ধ্যার দিকে কাশর এলাকা থেকে সোনালি আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, সোনালি স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন। পরে ডুবালিয়াপাড়া এলাকা থেকে সাগর ও নূপুরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তারা কী কারণে আত্মহত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গফরগাঁও সার্কেল আফরোজা নাজনীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ঘটনাগুলো কী কারণে ঘটেছে তা তদন্ত করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান। লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর আইনি প্রক্রিয়া চলছে।