২০১৮-১৯ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খুলনা মহানগরীতে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত ও ড্রেনেজব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সিটি কপোরেশন। নির্মাণকাজের পাশাপাশি ওই ড্রেনের ওপর ফুটপাত নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের পরপরই বেদখল হয়ে গেছে ফুটপাতগুলো।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শীতের পোশাক বিক্রি, শোরুমের মালামাল, স্যানিটারি সামগ্রী, গাড়ির ইঞ্জিন, ওয়ার্কশপ, গ্যাসের চুলা, ফলের ঝুড়ি বসিয়ে ফুটপাত দখলে নেওয়া হয়েছে। কোথাও ফুটপাতের ওপর জামাকাপড়, পাখির খাঁচা, দরজা রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার কোথাও হোটেলের বেসিন বসিয়ে হাঁটাচলার পথ বন্ধ করা হয়েছে। সচেতন নাগরিকদের সংগঠন ‘খুলনা নাগরিক সমাজ’-এর সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, ‘সৌন্দর্যবর্ধন ও নাগরিকদের হাঁটার জন্য ফুটপাত নির্মাণ করা হলেও তা এখন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের দখলে। হকাররা ফুটপাত পুরোপুরি দখলে নেওয়ায় চরম ঝুঁকি নিয়ে মূল সড়কে হাঁটতে হচ্ছে পথচারীদের। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় দখলদাররা ফুটপাত খেয়ালখুশিমতো দখল করছেন।’
সিটি করপোরেশনের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নগরীতে ৪২.২২ কিলোমিটার রাস্তা ও ৪৬.৯৫ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করা হয়। খানজাহান আলী রোড, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, ক্লে রোড, ডাকবাংলা, লোয়ার যশোর রোড, বিআইডিসি রোডসহ অধিকাংশ ড্রেনের ওপর নির্মিত কোটি টাকা ব্যয়ের ফুটপাতগুলো এখন মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দখলে।