মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার জন্ম দিয়েছে প্রতিপক্ষ। ঘটনাটি গত ১৯ জুন দুপুরের। এদিন উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মো. কমিরুল মোল্যাকে (৩০) একই উপজেলার রাড়িখালী উত্তরপাড়ার আবদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি বাঁশঝাড় থেকে কাটা বাঁশ বের করে দেওয়ার কথা বলে নিজেদের বাঁশ বাগানে নিয়ে জীবিত কবর দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই মো. জমিরুল মোল্যা মহম্মদপুর থানায় গত রবিবার ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এদিকে, ঘটনার বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর ভাই ছয়জনকে আসামি করে রবিবার একটি মামলা করেছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি। এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।’
কমিরুল মোল্যা পেশায় রাজমিস্ত্রি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কমিরুল মোল্যা বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আবদুল্লাহর সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আমি রাড়িখালী বাজার থেকে চা খেয়ে ঈদগাহ বাজারের দিকে আসছিলাম। পথিমধ্যে আবদুল্লাহদের বাড়ির কাছে পৌঁছালে আমাকে একটি কাটা বাঁশ ঝাড় থেকে বের করার অনুরোধ করে বাঁশ বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে পেছন থেকে আবদুল্লাহ তার গলার গামছা দিয়ে আমার গলায় পেঁচিয়ে ফেলে। এরপর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে যখন জ্ঞান ফিরেছে তখন দেখে আমি হাসপাতালে শুয়ে আছি।’
কমিরুল মোল্যার মা ফরিদা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে মেরে মাটিচাপা দিয়ে কয়জনে মিলে পালাচ্ছিল। একটা ছেলে টের পেয়ে তার বাবাকে বললে স্থানীয়রা তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। মরে গেছে মনে করে ওরা আমার ছেলেকে জীবন্ত মাটিচাপা দিচ্ছিল। আমি সঠিক বিচার চাই।’
হাসপাতালের কর্তব্যরত একজন চিকিৎসক সোমবার সকালে এই প্রতিবেদককে জানান, ওই ব্যক্তিকে গত বৃহস্পতিবার অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ কারণে এখনো তার গলায় ব্যথা রয়েছে এবং শ্বাসরোধের কারণে তার চোখে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। এ ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা নেই।